ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘোষণায় ফোর-জি, বাস্তবে থ্রি-জি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘোষণায় ফোর-জি, বাস্তবে থ্রি-জি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোর-জি সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটররা।

চলমান থ্রি-জি নেটওয়ার্কে গ্রাহকসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই ফোর-জিতে মান কতটা বাড়বে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ সংশয় প্রকাশ করেন।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গতকাল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফোর-জি তরঙ্গ নিলাম করে। এতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটক, গ্রামীণ ফোন ও বাংলা লিংক অংশ নিয়েছে। রবি ও এয়ারটেল মার্জার করায় তাদের তরঙ্গ সব অপারেটরের চেয়ে বেশি ৩৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ থাকায় নিলামে অংশ নেয়নি। নিলামে গ্রামীণফোন ১৮০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। এতে গ্রামীণফোনের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩৭ মেগাহার্টজ। আর বাংলালিংক ১৮০০ ব্যান্ডের ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ ও ২১০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। এতে বাংলালিংকের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ। তরঙ্গের প্রতিযোগিতায় গ্রামীণফোন রবির চেয়ে ০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ বেশি রইল।

তিনি আরে বলেন, আমাদের প্রশ্ন- এতদিন ধরে রবি ৩৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ দিয়ে যে থ্রি-জি সেবা গ্রাহকদের দিয়েছে সেটার মান কি থ্রি-জি পর্যায়ে ছিল? এ পরিমাণ তরঙ্গে ইন্টারনেটের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৫ এমবিপিএস। ফোর-জির জন্য গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ এমবিপিএস। যেখানে এতদিন এই তরঙ্গ দিয়ে গড়ে ৬ এমবিপিএস গতিই আনা গেল না, সেখানে একই পরিমাণ তরঙ্গ দিয়ে বর্তমান বিটিএস ব্যবহার করে কীভাবে ইন্টারনেটের মান বাড়াবে ফোর-জি?

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তরঙ্গ বিক্রি করে সরকার ৫ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা পরোক্ষভাবে জনগণের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও অপারেটররা গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য ও আশ্বাস দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ, ২০ এমবিপিএস গতি পেতে প্রয়োজন ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের। বিশ্বে ১৮০টি দেশে ফোর-জি চালু আছে। তাতে গড় গতি ১৬ দশমিক ৬ এমবিপিএস। সবচেয়ে গতি বেশি আছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৬৪ ও ৪৫ দশমিক ৮৫ এমবিপিএস। এছাড়া নরওয়ে-হাঙ্গেরিতে ৪২ এমবিপিএস।

বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের বর্তমান গতি ২ দশমিক ১ এমবিপিএস বা এর চেয়ে কম। ফোর-জি সুবিধার হ্যান্ডসেটের অপর্যাপ্ততা, ফোর-জি সিম পরিবর্তন, বিটিএস তৈরিসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান না করেই ফোর-জি চালুর ঘোষণা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করে সংগঠনটি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়