খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : জাতীয় সংসদে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে  জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপিত হয়। বিলটি উত্থাপন করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

খ্রিষ্টান রিলিজিয়াস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ রহিত করে সংশোধিত আকারে পুনঃপ্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল এবং বুদ্ধিস্ট রিলিজিয়াস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ রহিত করে সংশোধিত আকারে পুনঃপ্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০১৮ সংসদে উত্থাপন করা হয়।

খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার বিধানের প্রস্তাব করা হয়। ট্রাস্টের প্রধান কর্যালয় ঢাকায় স্থাপনেরও প্রস্তাব করা হয় বিলে। ধর্মমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।  ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অপরদিকে, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার বিধানের প্রস্তাব বিলে করা হয়। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনেরও প্রস্তাব করা হয়। ধর্মমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বিলটি ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক