ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কিশোর-কিশোরীদের সাহায্য করবে নির্ভরযোগ্য তথ্য

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কিশোর-কিশোরীদের সাহায্য করবে নির্ভরযোগ্য তথ্য

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোর বয়সীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ইউনিসেফ ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাস যৌথভাবে জাতীয় কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা উপকরণ ও দিনব্যাপী কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যমেলার আয়োজন করেছে।

রোববার সকালে অনুষ্ঠানগুলোর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদেরকে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ক ‘কম্প্রিহেনসিভ ইনফরমেশন, অ্যাডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ (আইইসি) উপকরণ নিশ্চিতভাবেই তাদের উপকারে আসবে।’ 

তিনি বলেন, সময়মতো সঠিক তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কেবল কিশোর-কিশোরীদের পছন্দমতো তথ্য বাছাইয়ে সহায়তা করবে না, একই সঙ্গে এটা বাবা-মা ও তত্ত্বাবধায়কদের তাদের শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করবে।

প্রত্যেক উপজেলায় দুটি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। কৈশোরবান্ধব সেবা প্রদানের জন্য সেবাদাতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা উপকরণ তৈরি করা হয়েছে; যাতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রদানে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। এটা তাদের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সেবা নিতেও উৎসাহিত করবে।

কিশোর-কিশোরীদের শিশু বয়সে বিয়ে, অপরিণত বয়সে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, শোষণ, নির্যাতন ও অপুষ্টির ঝুঁকির মুখে পড়ার জন্য অনেক সময়ই নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রাপ্তির সীমিত সুযোগ দায়ী। এগুলো তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ এই কিশোর বয়সীদের যথাযথ তথ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত যোগাযোগ উপকরণ প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; যাতে তারা বুদ্ধিমান হয়, সবকিছু ভালোভাবে জানে ও দায়িত্বশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত দিনব্যাপী মেলার লক্ষ্য হচ্ছে কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ে কিশোর-কিশোরী, তাদের বাবা-মা ও অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো। ইউনিসেফ ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের নেতৃত্বে অ্যাডোহার্টস (অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ অ্যান্ড রাইটস এনহান্সমেন্ট থ্রু ইনোভেশন অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেনথেনিং) প্রকল্প এই আয়োজনে অর্থায়ন করে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়