বিএনপি রাজনীতির বিষবৃক্ষ : ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : ‘বিএনপি রাজনীতির বিষবৃক্ষ। সামরিকতন্ত্র, রাজাকারতন্ত্র, সাম্প্রদায়িতকা, হত্যা, খুনের সংমিশ্রনে জিয়াউর রহমান বিএনপি নামের এই বিষবৃক্ষ ৭৫ এর পরে রোপণ করেছিলেন। বেগম জিয়া সার-পানি নিয়ে এই বিষবৃক্ষকে বড় করেছেন। তাই বিষবৃক্ষ নিয়ে গণতন্ত্রের বাগান সাজানো চলে না।’

বোরবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া যে মামলায় সাজা ভোগ করছেন সেই মামলা টেনে টেনে ১০টি বছর পার করেছেন। আইনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা উনি গ্রহণ করেছেন। ১০ বছর পর সাজা হলো, সেই সাজা তড়িঘড়ি আদালতের রায় না। তাই কারো সাজাকে শর্ত করে নির্বাচনের দরকষাকষি হতে পারে না। অন্তর্ভূক্তির নির্বাচনের নামে খুনের আসামি, হত্যাকারী, ‍দুর্নীতিবাজ নেতা-নেত্রীদের হালাল করা যাবে না। নির্বাচনের দরজা অপরাধী ছাড়া সবার জন্য খোলা আছে। অন্তর্ভূক্তির নির্বাচন মানে অপরাধীকে অন্তর্ভূক্তি করা নয়।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বিএনপির এজেন্ডা নয়। খালেদার সাজার পর জামায়াতসহ ২০ দল নিয়ে আবার মাঠে নেমেছে তারা। বিএনপির এজেন্ডা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা। মা-ছেলের দুর্নীতির বিচার বন্ধ করা। মানুষ পোড়ানোর বিচার বন্ধ করা। সুসংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা। বিএনপির এজেন্ডা নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য সহায়ক সরকারের প্রস্তাব মাঠে রাখা হয়েছে। এটি সংবিধানে নেই। সহায়ক সরকারের প্রস্তাবটা নির্বাচন বানচালের একটা উছিলা মাত্র। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথে রাখতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের পথে রাখতে হলে, কোনো দরকষাকষির নামে অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাবে ছাড় না দিয়ে দুর্নীতিবাজদের বিচার অব্যাহত রাখতে হবে। বিএনপি নামক বিষবৃক্ষকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে। এই বিষবৃক্ষে ডালপালা ছেঁটে নয়, সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অন্তর্ভূক্তিমুলক নির্বাচনের নামে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক