ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত মিয়ানমার

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত মিয়ানমার

কক্সবাজার প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান।

মঙ্গলবার বিকেলে মিয়ানমারে সে দেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফিরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান।

আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গার অবস্থা সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া ৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা, তারা কীভাবে আছে এবং কেন তাদেরকে এখানে রাখা হয়েছে, তারা আমাদের (বাংলাদেশের) অভ্যন্তরেও আসতে পারছে না, আবার তাদের (মিয়ানমারের) বাড়ি-ঘরেও যেতে পারছেন না- বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এর আগেও এসব রোহিঙ্গার ব্যাপারে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মোটামুটি ঐক্যমত পোষণ করেছে। এতে অন্তত শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করবে। তাদের বাড়িঘর যেগুলো ছিল, নষ্ট হয়ে গেছে, ওইগুলো মিয়ানমার ফেরত দেবে।’

ফেরত নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে মিয়ানমার আশ্বস্ত করেছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, মিয়ানমার যদি রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা দেয় তাহলে আজই তারা ফিরে যেতে রাজি।’

এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু’ দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে যায়।

প্রতিনিধিদলটি ঘুমধুম সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া এলাকায় ওই দেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি দেশে ফেরে।

প্রতিনিধিদলে ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত উভয় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আলোচনা করতে আজকের বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।




রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুবেল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়