ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিপিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিপিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৭ সালের করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স (সিপিআই) অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ ভুটান। দেশটির স্কোর ৬৭ এবং ঊর্ধ্বতন অনুযায়ী আবস্থান ২৬।

এর পরের অবস্থানে রয়েছে ভারত। স্কোর ৪০ এবং অবস্থান ৮১। এরপরে শ্রীলংকা ৩৮ স্কোর নিয়ে ৯১তম, ৩৩তম স্কোর পেয়ে ১১২তম অবস্থানে মালদ্বীপ এবং ৩২ স্কোর পেয়ে ১১৭তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান।

অন্যদিকে ৩১তম স্কোর পেয়ে ১২২তম অবস্থানে নেপাল। এরপরে ২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম এবং সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, স্কোর ১৫।

অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ নিম্নক্রম অনুসারে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে। ২০১২ সাল থেকে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিআই-২০১৭ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ২০১৭ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা এই সূচকে ০ থেকে ১০০ এর স্কেলে ২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) ১৪৩তম। একই স্কোর পেয়ে গুয়েতমালা, কেনিয়া, লেবানন ও মৌরিতানিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান। ২০১৬ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচক স্কোর দুই বেড়েছে।

যেখানে ২০১৬ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫তম,  ২০১৫ সালে ১৩তম,  ২০১৪ সালে ১৪তম, ২০১৩ সালে ১৬তম এবং ২০১২ সালে অবস্থান ছিল ১৩তম।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ‘২০১৭ সালে বাংলাদেশ ০-১০০ স্কেলে ও অবস্থান উভয় বিবেচনায় ২০১৬ এর তুলনায় ২ ধাপ এগিয়েছে। ১০০ এর মধ্যে ৪৩ স্কোরকে গড় স্কোর হিসেবে বিবেচনায় বাংলাদেশের ২০১৭ সালের স্কোর ২৮ হওয়ায় দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনো উদ্বেগজনক বলে প্রতীয়মান হয়। তদুপরি দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ সর্বনিম্ন অবস্থানে। অতএব, উল্লিখিত সামান্য অগ্রগতি কোনো অবস্থাতেই সন্তোষজনক নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি কাঠামো তুলনামূলকভাবে সুদৃঢ়তর হয়েছে এই ধারণা থেকে সূচকে বাংলাদেশের স্কোর দুই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের ঘাটতি, ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে ক্রমবর্ধমান অনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম ও দুর্নীতি ও বিশৃংখলায় জড়িত সহায়তাকারী ও দায়ীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিচারের আওতা তথা জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সফল হতে না পারায় আমরা আরো ভালো করতে পারিনি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম হাফিজুর রহমান, উপনির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি পরিচালক মো. রফিকুল হাসান প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়