ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৯০০ টাকা থেকে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে দুটি উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে, যা মাসিক ভাতার সমপরিমাণ।

রোববার জাতীয় সংসদে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধা দিতে শিগগিরই নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ থেকে ২ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এ শ্রেণির (পঙ্গুত্বের হার ৯৬-১০০ ভাগ) মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা, বি শ্রেণির (পঙ্গুত্বের হার ৬১-৯৫ ভাগ) ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার, সি শ্রেণির (পঙ্গুত্বের হার ২০-৬০ ভাগ) ১৬ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, ডি শ্রেণির (পঙ্গুত্বের হার ১-১৯ ভাগ) ব্যক্তিদের ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ থেকে ২৫ হাজার এবং ৭ বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের ভাতা ২৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, খেতাবপ্রাপ্ত চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ২০১৩ সাল থেকে ভাতা প্রদান শুরু করা হয়। ৭ বীরশ্রেষ্ঠের পরিবার ৩০ হাজার টাকা করে, ৬৮ বীর উত্তম ২৫ হাজার টাকা করে, বীর বিক্রম ১৭৫ জন ২০ হাজার টাকা করে এবং ৪২৬ বীর প্রতীক ১৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি প্রদান, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পসহ নানা ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া শিগগিরই বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবা প্রদান সংক্রান্ত প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ড ও সংরক্ষণ প্রকল্প এবং সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করার প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়