ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় : বাণিজ্যমন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২১ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় : বাণিজ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়। এ সম্পর্ক দিন দিন আরো ভালো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা লতিফ বকসি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৫৩ জন বাণিজ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তবে তার মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীসহ মাত্র পাঁচজন এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগ্রহে ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক উন্নতি ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।

ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু, এ কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেগবান হয়েছে।

‘রপ্তানি পণ্যের কাঁচামালের একটি বড় অংশ ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভারতের সাথেও বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে উভয় দেশ উপকৃত হবে এবং বাণিজ্য ব্যবধানও কমে আসবে’, বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এর আগে ইনফরমাল ডব্লিউটিও মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ওয়ে ফরোয়ার্ড অন ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক মতবিনিময় সেশনে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডব্লিউটিওকে কার্যকর ও সঠিক পথে পরিচালনার জন্য স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট (এস অ্যান্ড ডিটি) প্রভিশন সঠিক ও কার্যকরভাবে পুনর্বিচার করার সময় এসেছে। দোহা ডিকলারেশনের ৪৪ প্যারার যথাযথ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। দশম এবং এগারোতম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা হতাশ। বিশ্ব রপ্তানি বাণিজ্যে ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২ ভাগ অবদান রাখতে না পারলে এসডিজি বাস্তবায়ন এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। রপ্তানির ধারা ক্রমেই কমে আসছে। ২০১৩ সালে ছিল ১.১৭ ভাগ, ২০১৫ সালে তা হয়েছে ০.৯৮ ভাগ এবং ২০১৭ সালে তা এসে দাড়িছে ০.৯১ ভাগে।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য প্রসার একান্ত প্রয়োজন। আর সে বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজন ব্যবসাবান্ধব বাণিজ্যনীতি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দিনদিন বাণিজ্য জটিল আকার ধারণ করছে। এ বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিশ্ববাণিজ্য সঠিক পথে এগিয়ে যাবে না।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আমরা উন্নয়নের বিষয়ে সকলেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্যনীতি গ্রহণ ও তা সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। তা হলেই কেবল ডব্লিউটিওর উদ্দেশ্য সফল হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়