ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিগগিরই চূড়ান্ত হবে জাতীয় মেধাসম্পদনীতি

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিগগিরই চূড়ান্ত হবে জাতীয় মেধাসম্পদনীতি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় খুব শিগগিরই জাতীয় মেধাসম্পদনীতি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

‘ক্ষমতায়নের পরিবর্তন : উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতায় নারী’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।

সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জাতীয় মেধাসম্পদনীতির খসড়া তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ নীতিতে সৃজনশীল উদ্ভাবনে নারীদের অংশগ্রহণ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্‌র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ট্রিম ট্রেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সাহিদা পারভীন। আরো উপস্থিত ছিলেন- ডিপিডিটির রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেনসহ নারী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী, প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতারা। 

আমির হোসেন আমু বলেন, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সৃজনশীল মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতার নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ তে নতুন উদ্ভাবন ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে মেধাসম্পদ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের ট্রেড মার্কস আইন, কপিরাইট আইন ইত্যাদি আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন আধুনিক করা হচ্ছে। বিশেষ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় জিআই ল প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় জাতীয় মাছ ইলিশ এবং ঐতিহ্যবাহী জামদানিকে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল। বাংলাদেশের সরকার, রাজনীতি, জাতীয় সংসদ, সিভিল প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নারীরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের গৌরবময় তৈরি পোশাক শিল্প খাতে কর্মরত শতকরা ৮০ জনই নারী। বর্তমানে দেশের ৬২ শতাংশ নারী আয়বর্ধক কাজে জড়িত। দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার সর্বোচ্চ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সভ্যতার শুরু থেকেই কৃষি উৎপাদনে নারীরা অবদান রেখে আসছে। নারীর মমতা ও সৃষ্টিশীলতা সভ্যতার বিকাশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা ও বুদ্ধিমান জীব বলেই মানুষের আবিষ্কারও বিশ্বসেরা। এ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে ক্ষেত্র বিশেষে অবৈধ প্রতিযোগিতার ফলে মেধাসম্পদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অতীতে কোনো সরকার মেধাসম্পদের মালিকানা স্বত্ব (আইপিআর) সুরক্ষায় চিন্তা না করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে ঢাকাই জামদানির পর পাটের জেনম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের মালিকানা বাংলাদেশের হতে চলেছে।

সুযোগের দরজা খুলে দিলে নারীরাও সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়