ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২৮ এপ্রিল

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২৮ এপ্রিল

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্য। আইএলও’র সদস্যভুক্ত সব দেশে প্রতি বছর ২৮ এপ্রিল পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল (শনিবার) বাংলাদেশেও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন- নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৮ এপ্রিল বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন।  

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ কর্মপরিবেশ শ্রমিকের অধিকার। শ্রমিকের স্বাস্থ্য যদি ভাল না থাকে এবং কর্মস্থল যদি নিরাপদ না হয় তাহলে উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শ্রমিকের জীবন ঝুঁকিতে রেখে কোনোভাবেই শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এটি করতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য শোভন এবং স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দেবেন। দিবসটিতে ঢাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ করা হবে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর শিল্প এলাকায় তিন দিনব্যাপী ট্রাক-শো হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মর্মান্তিক রানা প্লাজা দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে পেশাগত নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা সব কারখানাকে পরিদর্শনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে শতভাগ ই-ফাইলিংয়ের আওতায় নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থায় আধুনিকায়নে সম্প্রতি লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট এপ্লিকেশন লিমা চালু করেছি। লিমা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেরই সাতটি। এটি আমাদের জন্য গর্ব আর অহংকারের। দিনে দিনে শিল্প কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা সামাজিক সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি কারখানায় সেইফটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গর্মেন্টস কারখানার নিরাপদ অবস্থা বলতে যা বোঝায়, তা যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থানে আছে।

কারখানা সংস্কারে তদারকির জন্য বায়ারদের সংগঠন এলায়েন্সের বাংলাদেশের সমন্বয়ক জেমস এফ মারিয়ার্টি বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পের নিরাপদ কর্মপরিবেশের রোল মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/আসাদ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়