ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও শান্তিনগরে জলাবদ্ধতা হয় না’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ১৬ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও শান্তিনগরে জলাবদ্ধতা হয় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, গত দুই বছর আগেও শান্তিনগরে এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগতো ১২-১৫ ঘণ্টা। এখন টানা ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও শান্তিনগরে জলাবদ্ধতা হয় না।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার নগর ভবনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, নাজিমুদ্দিন রোডের ড্রেন নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। কিছুদিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষে ওই এলাকায় এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতা হবে না। এছাড়া সিটি করপোরেশনের অন্য এলাকায় জলাবদ্ধতার নিরসনের জন্য ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা  নিরসনে সিটি করপোরেশন চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সাঈদ খোকন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিএসসিসির সমুদয় রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছিল। মশা মারার ওষুধ মজুত ছিল না। বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে নগর ভবনের বিদ্যুৎলাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এরকম অবস্থায় করপোরেশন পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় রাস্তা সংস্কার, নর্দমা সংস্কার ও মেরামত, পাবলিক টয়লেট, পার্ক, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবন (এসটিএস) নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা এনেছি। নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেছি। ঢাকার নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তি হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে মনিটরিং টিম প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবে। কোনো বাসায় এডিস মসার লার্ভা পাওয়া গেলে সেটা ধ্বংস করবে। পাশাপাশি বাড়ির মালিকদের সচেতন করা হবে যেন মশার বংশবিস্তার না ঘটে। এরপর একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ডিএসসিসিকে বাসোপযোগী, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরীরূপে গড়ে তুলতে গত তিন বছরে সরকারি তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ (জিওবি) ও নিজস্ব অর্থায়নে নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৪৭৩ কিলোমিটার সড়ক, ১১২ কিলোমিটার ফুটপাত সংস্কার, ৪৬৯ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে। আর ২৫৯ কিলোমিটার সড়ক, ২৬১ কিলোমিটার ড্রেন এবং ৫১ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সড়কে ৩৭ হাজার ৯৭৯টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪০০ কিলোমিটার নর্দমা পরিস্কার করা হয়েছে। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কটি উন্নত বিশ্বের শহরের আদলে গড়ে তোলা হবে। অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে খালের ১২০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মে ২০১৮/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়