ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জাহাজের নকশা অনুমোদনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাহাজের নকশা অনুমোদনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ সব ধরনের অভ্যন্তরীণ জাহাজের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ছয়টি বেসরকারি সংগঠন।

সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে পরিবেশবাদী এসব সামাজিক সংগঠনের নেতারা সরকারের কাছে এ দাবি জানান।

কোনো অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ পছন্দের নৌস্থপতিদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নকশাগুলো একচেটিয়া অনুমোদন দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোসহ নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জাহাজের ত্রুটিমুক্ত নকশা অনিবার্য হলেও এই নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে খোদ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরেই দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি চলে আসছে। বিশেষ কয়েকজন নৌস্থপতি ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ডিজাইন ফার্মগুলোর তৈরি করা নকশা অনুমোদনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।

সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে বসে একটি যাত্রীবাহী নৌযানের নকশা অনুমোদনের জন্য মালিকপক্ষের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তির ৫ লাখ টাকা নেওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের হাতে নৌ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। কিন্তু তা সত্বেও জাহাজের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়নি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনগুলোর নেতারা অভিযোগ করেন, জাহাজের নকশা অনুমোদনে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে কারাবন্দি প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাড়াও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি বাছাই কমিটি গঠিত হলেও এ কমিটি এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গঠিত নকশা অনুমোদন কমিটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাছাই কমিটি ও অনুমোদন কমিটির ওপর অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজের নকশা অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে; যার সঙ্গে অধিদপ্তরের ছোট-বড় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত।

বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, পিস-এর নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, পুরানা ঢাকা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক আলহাজ মো. নামিজউদ্দিন এবং নদী রক্ষা শপথের (নরশ) আহ্বায়ক সিকদার তাজাম্মুল হক জসি।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৮/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়