কুয়েটে মাটির নিচে গ্রেনেড-গুলি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েট ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে নবনির্মিত আইটি ট্রেনিং সেন্টারের রাস্তা নির্মাণ কাজের মাটির নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মঙ্গলবার আরো ৮১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে গত দুদিনে ডুমুরিয়া এবং খানজাহান আলী থানা পুলিশ মোট ৮৯০ রাউন্ড গুলি ও একটি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন আরো ৩০ রাউন্ড গুলি দেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে খানজাহান আলী থানা পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে নবনির্মিত আইটি ট্রেনিং সেন্টারের রাস্তা নির্মাণ কাজের স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ে আরো ৮১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এর আগে সোমবার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামের দিনমুজুর সোহেল রানা ৮০৩ রাউন্ড গুলি ডুমুরিয়া বাজারে ভাঙ্গাড়ির দোকানে বিক্রি করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়।

আটকের পর সোহেল পুলিশকে জানান, সম্প্রতি আইটি ট্রেনিং সেন্টারের রাস্তার মাটির কাজ করার সময় গুলিগুলো পেয়ে গোপনে বিক্রি করতে এসেছিল। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টায় পুলিশ কুয়েট ক্যাম্পাসের আইটি ট্রেনিং সেন্টারের উল্লিখিত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মাটির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাড়ে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি গ্রেনেড ও ৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় এখানে খানদের ক্যাম্প এবং ইটের স্তূপ ছিল। সেই সময়ে তাদের ফেলে যাওয়া গুলি হয়তো মাটিকাটার সময় উঠে এসেছে।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. লিয়াকত আলী বলেন, ডুমুরিয়া বাজারের ভাঙ্গাড়ির দোকানে বিক্রি করার সময় সোহেল রানাকে পুলিশ আটক করে। পরে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে উল্লিখিত স্থানে গত দুদিনে দুদফায় মাটি কেটে ৮৭ রাউন্ড গুলি ও একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ও গুলি মুক্তিযুদ্ধকালীন নয়, আরো পরের। পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।




রাইজিংবিডি/খুলনা/১২ জুন ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক