ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ মানে আনন্দ। শিশু-কিশোরদের কাছে ঈদের আনন্দ আরো বেশি উপভোগ্য। এই আনন্দ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ বিনোদনকেন্দ্র। তাই ঈদের দিন শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রমনা পার্ক ও শিশু পার্ক।

এছাড়া রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, ধানমন্ডি লেক, চিড়িয়াখানা, হাতিরঝিল, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, শ্যামলী শিশুমেলা- সবখানেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। এসব বিনোদনকেন্দ্রেও বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতি ছিল।

শনিবার সকালে ঈদের নামাজের পর বড়দের কাছ থেকে সেলামী নিতেই ব্যস্ত ছিল শিশু-কিশোররা। দুপুরের পর রঙ-বেরঙের নতুন জামা পড়ে বড়দের হাত ধরে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করে তারা। বিকেল গড়াতেই এসব কেন্দ্রে ঢল নামে তাদের।

শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতিতে শিশু পার্ক, রমনা পার্ক ও জাতীয় যাদুঘরসহ রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে। রমনা পার্কে কেউ ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা খেলনা পিস্তল ও বাঁশি নিয়ে মজায় মেতেছিল। আবার কেউ কেউ মা-বাবার সাথে খুনসুটিতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে। সবার মুখে ছিল হাসির ঝিলিক।
 


রমনা পার্কে আসা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহম্মেদ ইমতিহানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। সে জানায়, রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়ছে সে। পরীক্ষার কারণে এবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। এ কারণে ঢাকাতেই ঈদ করছে তারা। সকালে ঈদের নামাজ, দুপুরে আত্মীয়ের বাসা আর বিকেলে রমনা পার্ক, শিশু পার্কে ঘুরতে আসা। এভাবেই কেটেছে ঈদের দিন। ঈদের দিন তার কাছে আনন্দ এবং মজার। কারণ স্কুল বন্ধ, পড়ার জন্য মা-বাবারও চাপ থাকে না। বরং ঈদ এলেই তাদের কাছে যে আবদার করা হয় তা পূরণ হয়ে যায়। তার মতে, এরকম ঈদ প্রতিদিন হলেই তো ভালো।

শিশু পার্কে ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ। কিচির-মিচির শব্দ, রেলগাড়ির ছুটে চলা আর নিরাপত্তাকর্মীদের তৎপরতায় নিরাপদেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছে সবাই। আজ নেই মা-বাবার বকুনি, তাই ইচ্ছেমতো ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছে শিশু-কিশোররা। সব ঝক্কি-ঝামেলা এড়িয়ে অভিভাবকরাও মেতেছেন ঈদ আনন্দে। তারা বাচ্চাদের কিনে দিচ্ছেন নানা ধরনের খাবার ও খেলনা। এতে অনেক গুণ বেড়ে যায় ঈদ উৎসবের মাত্রা। তবে ভাড়া ও কেনাকাটায় বাড়তি টাকা গুনতে গিয়ে অনেক হতাশা প্রকাশ করেন। তবুও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জুন ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়