‘ঈদযাত্রা এতটা স্বস্তিদায়ক হবে ভাবিনি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ এবার নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। আসা-যাওয়ায় কোনো কষ্ট হয়নি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে  প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা বেটার করতে পেরেছি। অনেক আশঙ্কা, আতঙ্কের পরও ঈদযাত্রা যে এতটা স্বস্তিদায়ক হবে ভাবিনি।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তারপরও  ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে সেটাই স্বস্তির বিষয়। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাইওয়ে পুলিশ, র‍্যাব সবাই সহযোগিতা করেছে। এজন্য তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সরকারের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও যুক্ত ছিলেন।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হার কমেছে। আমরা চেষ্টা করছি দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে। এ বছর সব মিলিয়ে ৬০-৬৫ জন মারা গেছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ছিল রোববার রাতের নীলফামারীর দুর্ঘটনা- উল্লেখ করেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে ঈদের দিনও দেখা করতে দেওয়া হয়নি বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা জেলখানা, কারো বাসাবাড়ি না। জেলখানায় প্রতিদিন নেতারা দেখা করতে যাবেন এ সুযোগ জেলকোডে নাই। বিএনপি নেতারা কী প্রতিদিন জেলখানায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন? তবে তার আত্মীয়রা জেলখানায় দেখা করতে গেছেন এবং ঠিকই দেখা করতে পেরেছেন।

কারাবন্দী থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা স্কয়ারে চিকিৎসা নিতে পারলে খালেদা কেন ইউনাইটেডে চিকিৎসা নিতে পারবেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রীকে সিএমএইচে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে স্কয়ারে নিয়ে যেতাম না।

তিনি বলেন, সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) হলো সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতাল। কেন যে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে চান না তা আমাদের জানা নেই। আমার এখন সন্দেহ হয় বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কিনা। আমার তো মনে হয়, তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, রাজনীতি করার ইস্যু খুঁজছেন। তাদের কাছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপি নেতাদের বিদেশ সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। তাই তারা এখন বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। কখনো ব্যাংকক, কখনো দুবাই, কখনো ‍লন্ডন। কোথায় কে, কী করছেন সরকারের কাছে সব খবর আছে। দেশের মানুষ এখন নির্বাচনী আমেজে আছে।

তিনি বলেন, ২৬ জুন গাজীপুরে নির্বাচন। ৩০ জুলাই অন্য তিনটি সিটিতে নির্বাচন। এরপরেই জাতীয় নির্বাচন। এগুলো হলো সেমিফাইনাল। বছর শেষে হবে ফাইনাল।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৮/নঈমুদ্দীন/ইভা