ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে : আইনমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ৬ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে : আইনমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। ইচ্ছেকৃত দুর্ঘটনায় চালক বা সংশ্লিষ্টদের যে শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীরা করে আসছে, তার সবটাই এ আইনে রয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে নিজ দফতরে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিষয়ে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটা অপরাধে এক পয়েন্ট কাটা যাবে চালকের। এভাবে ১২ পয়েন্ট কাটা গেলে তাকে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। এ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা আগে আমাদের দেশে ছিল না। এটা এবার এ আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে এবং মটরযানের রেজিষ্ট্রেশনসহ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

তিনি বলেন, মটরযান নির্মাণ, যন্ত্রপাতি বিন্যাস, ওজনসীমা নির্ধারণ এবং পরিবেশ দুষণসহ বেশকিছু ইস্যুতে এখানে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও বীমা ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা রাখা হয়েছে এ আইনে। চালক সমিতি, মালিক ও সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ট্রাষ্টি বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা রয়েছে এ আইনে। এ ট্রাস্টি বোর্ডের কাজ হবে তহবিল তৈরি করা।

মন্ত্রী বলেন, আগের আইনে ১৭৭টি ধারা ছিল। বর্তমান আইনে তা ১২৪টি করা হয়েছে ও ১৪টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার রেগুলেটরি আনা হয়েছে, যানবাহন চালনা ও সড়ক ব্যবস্থাপনায় যা যা প্রয়োজন সব সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগের আইনে নেগলেন্সি অব ড্রাইভিং এর সাজা ছিল ৩ বছর। এই আইনে তা অজামিন যোগ্য ৫ বছর করা হয়েছে। এখানেই শেষ না। তদন্তে যদি ভিন্ন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলাযোগ্য হবে। এখানে তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যতেই মামলা ৩০২ ধারা না ৩০৪ ধারায় বিচার হবে তা ঠিক হবে।

আনিসুল হক বলেন, দুর্ঘটনাকে কেবল দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। তদন্তে যদি দেখা যায় ইচ্ছাকৃত ভুল বা সামলানো যেতো অথচ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখনই এই মামলা ৩০২ ধারায় বিচার হবে। মামলার গুরুত্ব ও জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী মামলা প্রয়োজনে দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর সড়কে দুই কোমলমতি শিশুর  মামলা ৩০২ ধারায় দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার বিষয়ে কথা দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সরকার এ সংক্রান্ত সকল মামলার রায় ও আদালতের রায়কে সর্বোচ্চ আমলে নিয়েছে। বেশিরভাগই অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেগুলো নেওয়া সম্ভব হয়নি সেগুলো বিধি করার সময় যোগ করা হবে।

ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সড়ক ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত সবগুলো বিষয়ের সাথে সমন্বয় রেখে যা যা প্রয়োজন তা এ আইনে যুক্ত আছে বলে জানান তিনি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ আগস্ট ২০১৮/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়