ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বিচারকদের শোক দিবস পালন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১৫ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বিচারকদের শোক দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার নিম্ন আদালতের জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, বিশেষ জজ, ট্রাইব্যুনাল, সিএমএম ও সিজেএম আদালতে বিচারকগণ বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন। 

বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের জগন্নাথ সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে তারা এ শোক দিবস পালন করেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ, মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. সাইফুজ্জামান হিরো, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) জাহিদুল কবীর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শহীদুল ইসলাম ফারুক, শরীফ উদ্দিন, তাবাসসুম ইসলাম, বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান, বিশেষ জজ আতা উল্লাহ, অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা জিপি ফকির দোলোয়ার হোসেন ও মেট্রোবারের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শতাধিক বিচারক উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক নেতা হয়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। তাকে হত্যার পর ২১ বছর আমাদের দাবিয়ে রাখা হয়েছিল। তাই আপনারা (বিচারক) যারা এই প্রজন্মের আছেন তারা শুধু বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভাল করে শুনবেন তাহলেই বুঝতে পারবেন তিনি কতবড় নেতা ছিলেন। তার উত্তরাধিকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে তার সম্পর্কে আমরা আজ জানতে পারছি। ওই মহান পুরুষ দেশের স্বাধীনতা এনে না দিলে আমরা আজ এই জায়গায় বসতে পারতাম না। তাই তাকে আমরা কেন স্মরণ করব না? তাকে আমরা অন্তরে ধারণ করব।’

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশে কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। আইনের শাসনকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। এখন তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী দেশে আইনের শাসন নেই বলে বক্তব্য দিয়ে বেড়ান। তাদের বলব, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনের শাসনকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল সেদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? সেদিন আপনারা একটি কথাও বলেননি। আপনারা অনেকে খুনিদের সাথে পার্লামেন্টে বসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করতে হাতে তালি দিয়েছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।




রাইজিংবিডি/১৫ আগস্ট ২০১৮/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়