ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৭০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২১ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৭০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা

ছবি : আসাদ আল মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবদেক : আগামীকাল কোরবানির ঈদ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শেষদিনের মতো রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

বেলা ১১টায় গুলিস্তান গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। টার্মিনালে এসে নির্দিষ্ট বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। আবার যারা বাসের আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তারা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন।

মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালের অনেক যাত্রী গুলিস্তানে বিভিন্ন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখে মাওয়া রুটের আনন্দ, গাংচিল, আরাম, স্বাধীন, ইলিশ, গ্রেট বিক্রমপুরসহ বিভিন্ন পরিবহন ৭০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। যাত্রীরা  বাধ্য হয়ে প্রায় চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন।

ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, পদ্মা, বিআরটিসি, সুন্দরবন, অভিযান, ধানসিড়িসহ বিভিন্ন পরিবহনের একটি বাসেও আসন খালি নেই। অনেক পরিবহনে দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।

গুলিস্তানে কথা হয় মাতুয়াইলের বাসিন্দা নিরব মাহফুজের সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদ গ্রামের বাড়িতে করি। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করি। ফরিদপুর যাবো। আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভেঙে ভেঙে যাবো। গুলিস্তান থেকে মাওয়ার ভাড়া ৭০ টাকা হলেও গাংচিল পরিবহন ২৫০ টাকা করে নিচ্ছে।’

কথা হয় মাদারীপুর শিপচরের বাসিন্দা আব্দুর রবের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় অসুস্থ। তাকে দেখতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছিলাম। ঢাকায় ইলিশ পরিবহনে ৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকা আসলেও এখন ২৫০ টাকা নিচ্ছে। পরিবহন নেতাদের   বললে তারা বলেন, শ্রমিকদের ঈদ বোনাস। রাস্তায় বিভিন্ন রকমের খরচ আছে। ভাল লাগলে যান, না লাগলে যাইয়েন না। কি করবো তাদের কাছে জিম্মি, বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে যাচ্ছি।’

গাংচিল পরিবহনের কাউন্টারে কথা হয় সুপার ভাইজার এস আই আরমানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘খালি গাড়ি ঢাকায় আসতে হয়। রাস্তায় বিভিন্ন খরচ আছে। এ কারণে ঈদের সময় কিছু টাকা বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের পরিবার আছে। তাদের ঈদ করতে হবে। যাত্রীদের কাছে টাকা না পেলে কোথায় পাবো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৮/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়