ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র স্থাপন করছে সরকার’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র স্থাপন করছে সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : চলতি মাসের শেষের দিকে ‘গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র’ স্থাপন করছে সরকার। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা কোনো পোস্ট দিলে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রটি গুজবের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দেবে। তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হবে গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এসব তথ্য জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজবের কারখানায় পরিণত হয়। এর ফলে একটি প্রজন্ম গুজবকেও সত্য বলে ধরে নেয়। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেক সময় গুজবের সূত্র ধরে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব শনাক্ত করে জনসাধারণকে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

তারানা হালিম বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পিআইডিতে (প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট), প্রয়োজন হলে নিমকোতে (বাংলাদেশ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট) বেশকিছু তরুণ লোকবল আছে, তাদেরকে ইনক্লুড করে একটি টিম করব, যারা ২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সংবাদগুলো গুজব সেগুলো চিহ্নিত এবং সব সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল, রেডিও এবং সংবাদ মাধ্যমে তিন ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পিআইডি থেকে প্রেস নোট যাবে যে, এ সংবাদগুলো গুজব, ভিত্তিহীন এবং অসত্য।

কেন্দ্র স্থাপনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লন্ডনভিত্তিক একটি সেল আছে এবং তিন শতাধিক পেজ রয়েছে জামায়াতের। তারা খুব সক্রিয় এবং পেজগুলো প্রবলভাবে স্পন্সরড। নির্বাচনের আগে এ প্রবণতা বেড়ে যাবে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব কণ্ঠ রোধ করা নয়, সত্য তুলে ধরা। সে কাজের জন্য সেলটি গঠন করা হবে। প্রাথমিকভাবে তিন শিফটে প্রতি শিফটে সাতজন করে এ কেন্দ্রে কাজ করবেন। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ কাজটি শুরু করতে পারব। আমরা একটি নম্বর দেওয়ারও চেষ্টা করছি। এ নম্বরটি সব সাংবাদিকের কাছে থাকবে। তবে আমরা সুয়োমোটো সংবাদটি (গুজব-সংক্রান্ত) আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নিন :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সেবা নিতে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেন, বিটিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করছে। প্রাইভেট চ্যানেলগুলোকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বিটিআরসির কাছ থেকে নিয়ে ব্যবহারের জন্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সব বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলকে সেবা দিতে সক্ষম। বিটিআরসি থেকে ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু-১ এর সেবা গ্রহণে বিএসসিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সব টেলিভিশন চ্যানেলকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে চ্যানেলগুলো সেবা নিলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। সুনাগরিক হিসেবে এটি আমাদের দায়িত্ব। আমরা গত ৩০ জুলাই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চ্যানেলগুলোকে একটি অনুরোধপত্র দিয়েছি। টিভি চ্যানেলগুলোকে বলব, আপনারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সেবা নিন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়