ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

বিশেষ প্রতিবেদক : দেশের সারের মওজুদ বাড়াতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির আওতায় সরকার ৭৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনটি ক্রয় প্রস্তাবসহ মোট ১১টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে প্রথম লটে ২৫ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘অপর একটি কোটেশন ইনকোয়েরির বিপরীতে ২৫ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোটেশন ইনকোয়েরির বিপরীতে অপর একটি ক্রয় প্রস্তাবে ২৫ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী,  রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ)’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের আওতায় দুই লাখ চার হাজার ৯৯০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।’ 

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘এসএএসইসি রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট: ইমপ্রুভমেন্ট অব বেনাপোল অ্যান্ড বুড়িমারি ল্যান্ড পোর্ট (১ম সংশোধনি)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘অপারেশনাল  ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অব বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির’ একটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত কাজে ব্যয় বেড়ছে তিন কোটি ২০ লাখ টাকা।

ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রফেশনালাইজেশন’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার অব দি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ করার লক্ষ্যে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক কোটি ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ৩০ হাজার ১২ বোর শটগান এবং শটগানের ৩০ লাখ কার্তুজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।  ৩০ হাজার ‘১২ বোর শটগান’- এর জন্য ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। আর ৩০ লাখ কার্তুজ ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এসব শটগান ও কার্তুজ ইতালি, তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য থেকে সংগ্রহ করে জননিরাপত্তা বিভাগের কাছ সরবরাহ করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর বাহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মান ও ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী  পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মান’ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ’

তিনি বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকাস্থ মিরপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মান’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সব সুযোগ-সুবিধাসহ ১২৫০ বর্গফুটের তিনটি ১৩ তলা ভবন নির্মান’ শীর্ষক প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষন এবং গবেষণা কাজে পরামর্শক সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। 

তিনি বলেন, বৈঠকে অপর তিনটি প্রকল্পের অতিরিক্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এরমধ্যে ‘পানি ভবন নির্মান (১ম পর্যায়) (২য় সংশোধিত) ১২ তলা পর্যন্ত) কাজ বাস্তবায়নের জন্য ১ম ভেরিয়েশন প্রস্তাবে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মিটার গেজ ট্র্যাক পুনর্বাসন কাজের ভ্যাট  এবং ট্যাক্সের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের বিপরীতে ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এবং পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অপর একটি প্যাকেজের আওতায় শেড, ড্রেনেজ, গভীর নলকূপ বসানো ও অন্যান্য কাজের ভ্যাট এবং ট্যাক্সের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের ২১ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়