ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মোবাইলে দৈনিক লেনদেন হয় ৯৯৪ কোটি টাকা

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোবাইলে দৈনিক লেনদেন হয় ৯৯৪ কোটি টাকা

সংসদ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৯৯৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ৯৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট গ্রাহক ৬ কোটি ৪০ লাখ। তাদের মধ্যে ৩ কোটি ৬ লাখ গ্রাহক সক্রিয়ভাবে লেনদেন করছেন।

এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৬১২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব অর্থের মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ২৩১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদান ৩৮০ দশমিক ৭৩ মিলিয়র মার্কিন ডলার।

তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদানসমূহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান, পানিসম্পদ, শিল্প, বিদ্যুৎ, তেল-গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবহণ, যোগাযোগ, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ, শিক্ষা ও ধর্ম, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ, সমাজকল্যাণ-যুব উন্নয়ন ও নারী উন্নয়ন, জনপ্রশাসন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, গণযোগাযোগ, বিজ্ঞান-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেক্টর ও সাব-সেক্টরে সর্বাধিক ব্যবহার হয়েছে। এ প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য ইআরডির মনিটরিং ব্যবস্থা চালু আছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণ ও অনুদান দেওয়া দেশ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ ৭৮০.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ৮৯৬.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইডিএর (বিশ্বব্যাংক) প্রতিশ্রুত ২৯৩০.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১৪২২.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনের প্রতিশ্রুত ৩৬০৭.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৯৭৮.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউএন সংস্থার প্রতিশ্রুত ১৮৩.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১৬৯.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইডিবির প্রতিশ্রুত ১১৩.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৩২.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাপানের প্রতিশ্রুত ১৮২৮.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১৫৪৪.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রতিশ্রুত ৪৫০৭.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৪৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রাশিয়ার প্রতিশ্রুত সব অর্থ পাওয়া গেছে। দেশটি থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৮৩২.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। যা জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৩.৮১ শতাংশ। ২০০৫ সালে ১৩.০ শতাংশ পরিবার সুবিধা ভোগ করে এবং পরবর্তী বছরে ২০০৬ সালে তা উন্নীত করা হয়, যার হার ২৮.৭ শতাংশে। এই উদ্যোগের ফলে দারিদ্র্যের হার ২০১০ সালের ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৬ সালে কমে এসে দাড়ায় ২৪.৩ শতাংশে এবং অতি দরিদ্রের হার ১৭.৬ শতাংশ থেকে ১২.৯ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়