ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘পুলিশের আস্থার সেতুবন্ধন কমিউনিটি পুলিশিং’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পুলিশের আস্থার সেতুবন্ধন কমিউনিটি পুলিশিং’

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সঙ্গে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন। জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে সচেতন ও মুক্ত রাখার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এর অবদান হতে হবে সবচেয়ে বেশি।

সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ,  বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ কল্পে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর দায়িত্ব হবে, যেকোনো ধরনের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সমাজে অপরাধের মূল হোতাদের সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করা। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। জঙ্গিবাদ ঠেকাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এনজিওসমূহ যাতে কোন জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, হলি আর্টিজান, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়াসহ সব জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবদান ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকবে। দুর্গম অঞ্চলের সাধারণ মানুষের শোষণ, বঞ্চনা ও হাহাকারের ঘটনা কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। আজও বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে মানুষ। তাই মানবতার মা শেখ হাসিনার শাসনামলে একটি মানুষকেও বঞ্চনার শিকার হতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, পুলিশকেও বিবেকের কাছে সচেতন ও সৎ থাকতে হবে। মাদক ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আর আমরা সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশকে একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ প্রজন্ম উপহার দিয়ে দেশেকে নিয়ে যাবো কাঙ্খিত অবস্থানে।

অনুষ্ঠানে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, মাদক, সন্ত্রাস এমনকি জঙ্গিবাদের করালগ্রাসে কেউ যেন জড়িয়ে না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনো  পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তি যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের কথা পুলিশ জানতে পারবে। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে একটি দর্শন। যতদিন রাষ্ট্র আছে ততদিন কমিউনিটি পুলিশিং থাকবে। মানুষের মাঝে যেন অপরাধ প্রবণতা না জন্মায়, কমিউনিটি পুলিশিং সে বিষয়ে সর্তকিকরণ করে। কমিউনিটি পুলিশিং অন্যতম সমাজ সহায়ক ব্যবস্থা।

সমাবেশে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, সদর দক্ষিণ কমিউনিটি পুলিশের আহ্বায়ক প্রফেসর আনোয়ার উল্লাহ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়