মেডিক্যাল ছাত্রকে অর্থ সহায়তা দিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘টাকার অভাবে মেডিক্যালে পড়াশুনা নিযে সংশয়’-শিরোনামে সংবাদ পড়ে এক মেডিক্যাল ছাত্রকে ডেকে এনে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

সহায়তা প্রাপ্ত ছাত্র হলেন রিপন চন্দ্র রায়। বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার থুমনিয়া গ্রামে। বাবা পান দোকানদার ভবেশ চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে রিপনকে ডেকে এনে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে শিক্ষা সহায়তার ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। এই তহবিল থেকে রিপন আগামী তিন বছরে ৩ লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা পাবেন।

যশোর মেডিক্যালে সদ্য ভর্তি হওয়া মেধাবী ছাত্র রিপন চন্দ্র রায়কে নিয়ে ২১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। রিপনের মেডিক্যাল পড়াশুনা নিয়ে সংশয় রিপোর্ট পড়ে প্রতিমন্ত্রী এই উদ্যোগ নেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, দিন মজুরের সন্তান সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে এ তহবিল থেকে তিন লাখ করে টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়। কোনো শ্রমিকের সন্তান যদি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।

রিপন ছাড়াও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় দুর্ঘটনায় হাত হারানো চা শ্রমিক মহাবির করকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় দিনাজপুরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এবং সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ অক্টোবর ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ