ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৩ মাসে প্রায় ৬ কোটি ভিডিও মুছেছে ইউটিউব

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩ মাসে প্রায় ৬ কোটি ভিডিও মুছেছে ইউটিউব

প্রতীকী ছবি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : কমিউনিটি গাইডলাইন বা নীতিমালা না মানায় তিন মাসে ৫ কোটি ৮০ লাখের বেশি ভিডিও এবং ২২ কোটি ৪০ লাখের বেশি কমেন্ট (মন্তব্য) মুছে ফেলেছে ইউটিউব। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইউটিউব।

জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্মটি থেকে স্প্যাম, নগ্নতা, যৌনতা, সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, হেনস্তা, শিশু নিপীড়ন এবং হিংসাত্মক কনটেন্টের বিস্তার দমনে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রদর্শনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এ ধরনের কনটেন্টগুলো দ্রুত শনাক্ত এবং মুছে ফেলার জন্য ইউটিউব, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, অনলাইন পরিষেবাগুলোর জরিমানার মুখোমুখি হওয়া উচিৎ যদি চরমপন্থী কনটেন্টগুলো সরকারি আদেশের ১ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে না পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো সরকারের অনুরোধ যাচাই করে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আপত্তিকর কনটেন্ট সরাতে রাজি হয়েছে।

আগের প্রান্তিকের মতো এ প্রান্তিকেও সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা কনটেন্ট ‘স্প্যাম’ ছিল বলে জানিয়েছে ইউটিউব।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষের মতে, ব্যবহারকারীরা অভিযোগ জানানোর আগেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপত্তিকর ভিডিও শনাক্তে ইউটিউবের প্রযুক্তি এখন আরো বেশি দক্ষ হয়ে উঠেছে। সহিংসতা, নগ্ন ও যৌনতা এবং স্প্যাম কনটেন্টগুলো দ্রুত শনাক্ত করছে পারছে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইউটিউব থেকে মুছে ফেলা সহিংসতামূলক প্রায় ১০,৪০০টি ও শিশুদের সুরক্ষায় মুছে ফেলা ২৭৯,৬০০টি ভিডিওর মধ্যে ৯০ শতাংশ ভিডিও-ই দশটি ভিউ হওয়ার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে।

তবে হিংসাত্মক ও বিপজ্জনক আচরণমূলক কনটেন্টগুলো স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত শনাক্ত করাটা এখনো ইউটিউবের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের ভিডিও ও কমেন্ট শনাক্ত করার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নতুন হওয়ায়, তা কম কার্যকর। এ ধরনের আপত্তিরকর ভিডিও এবং মন্তব্য শনাক্ত করতে ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের (অভিযোগ) ওপর নির্ভর করতে হয়। যার মানে হচ্ছে, রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক আচরণের ভিডিও বা মন্তব্য মুছে ফেলার পদক্ষেপ নিতে নিতে অনেকেই সেসব ভিডিও বা মন্তব্য দেখতে পারে।

তবে প্রতিষ্ঠানটি আরো কয়েক হাজার নতুন মডারেটর নিয়োগ দিতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে বছর শেষে দক্ষ মডারেটরের সংখ্যা দাড়াবে ১০ হাজারের বেশি। ফলে ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট আরো দ্রুত পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে ইউটিউব।

এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে ইউটিউব জানিয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রথমবারের মতো এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল মুছে ফেলা হয়েছে যারা ৯০ দিনের মধ্যে ৩টি নীতি ভঙ্গ করেছে বা শিশু পর্নোগ্রাফি ভিডিও আপলোড করেছে।

তিন মাসে ১৭ লাখ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ এবং চ্যানেলগুলোর ৫ কোটি ২ লাখ ভিডিও মুছেছে ইউটিউব। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে স্প্যাম আপলোড করার কারণে, ১৩ শতাংশ নগ্নতার কারণে এবং ৪.৫ শতাংশ বন্ধ করা হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তায়।

এছাড়াও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুলাই থেকে সেপেম্বর- ৩ মাসে নীতিমালা ভঙ্গের জন্য পৃথকভাবে ৭৮ লাখ ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। যার মধ্যে ৮১ শতাংশ ভিডিও শনাক্ত হয়েছে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্তকরা এসব ভিডিওর মধ্যে ৭৪.৫ শতাংশ ভিডিও কোনো ভিউ হওয়ার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

পড়ুন :
**





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়