ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পর্যটকে সরগরম সৈকত নগরী কক্সবাজার

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পর্যটকে সরগরম সৈকত নগরী কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি: এখন পর্যটন মৌসুম। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার এখন ভ্রমণ পিয়াসিদের পদচারণায় সরগরম। এ কারণে সৈকতজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সৈকতে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে সময় কাটানোর পর সন্ধ্যায় পর্যটকরা ভিড় করছেন বার্মিজ মার্কেটগুলোতে। নির্বাচনের পর নতুন বছরের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমনে দারুণ খুশি ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে টুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছেন, সৈকতের এই পর্যটন স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে দীর্ঘ এক কিলোমিটার লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত পর্যটকে পর্যটকে কানায় কানায় ভরা পুরো সৈকত তীর। শুধু এই দুটি পয়েন্ট নয়; সৈকতের শৈবাল, সী-গাল ও কলাতলী পয়েন্টেও একই অবস্থা।

বছরের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা মেতে উঠেছেন আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে সৈকতে নীল জলরাশিতে গা ভাসানো, দৌড়াদৌড়ি, জেড স্কিতে ভ্রমণ ও ছবি তুলে দারুণ সময় পার করছেন তারা।

বাবা-মা’র সাথে বেড়াতে আসা ছোট্ট আদিব (১০) জানায়, সাগর আগে কোনদিন দেখেনি সে। এই প্রথম বাবা-মা’র সাথে কক্সবাজারের এসে সাগর দেখল। সাগরের পানিতে ও বালিয়াড়িতে খেলা করতে খুবই ভালো লাগছে তার।

ঢাকার মতিঝিল থেকে আসা শাহীন-রওশন দম্পতি বললেন, ‘এর আগে অনেকবার কক্সবাজার আসা হয়েছে। কিন্তু এবার কক্সবাজার আসার মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের দেড় বছরের বাবুর জন্য। এখন বাবুর আনন্দই আমাদের আনন্দ। বাবুকেই আনন্দ দেওয়ার জন্য কক্সবাজার ছুটে আসা।’

শিহাব নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘থাকি আমেরিকায়। এক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছি। তারমাঝেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে আসলাম আনন্দ কুড়াতে। বেশ আনন্দ করছি এবং ছুটিটাও বেশ উপভোগ করছি।’



এদিকে সন্ধ্যার পর পর্যটকরা ছুটছেন শহরের বার্মিজ মার্কেটগুলোতে। এতে দারুণ খুশি বার্মিজ মার্কেটের দোকানীরাও। পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরাও।

শহরের বাজারঘাটাস্থ রোকেয়া মার্কেটের বার্মিজ সামগ্রীর দোকানি তৈয়ব বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে দিন দিন কক্সবাজারের পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে পর্যটকরা আমাদের দোকানে এসে বার্মিজ পণ্য ও আচার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ব্যবসা ভালো হওয়াতে আমরা খুবই খুশি।’

হোটেল কক্স-টুডে’র ম্যানেজার আবু তালেব শাহ বলেন, ‘শীত আমেজ ও সমুদ্রের উষ্ণতার জন্য কক্সবাজারে ছুটে আসছে পর্যটকরা। যেমন বুকিং পাওয়া যাচ্ছে তেমনি হোটেলও পর্যটকে ঠাঁসা থাকছে। এতে আমাদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে।’

কক্সবাজারে পর্যটক আগমনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা আমাদের লোক আছে। এছাড়াও সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, ইনানীতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজারের ঘুরতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, মহেশখালী ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।




রাইজিংবিডি/ কক্সবাজার/ ১৩ জানুয়ারি ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়