ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘৩০ তারিখের নির্বাচন লজ্জার’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ২১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘৩০ তারিখের নির্বাচন লজ্জার’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘৩০ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে এটা লজ্জার নির্বাচন। নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে দেশে।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। কোনো সুষ্ঠু স্বাধীন গণতান্ত্রিক জাতি এবং এ দেশের মানুষও এটাকে মেনে নেয়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে তিনি বিজয় উৎসবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে সমর্থন করতাম, যদি তিনি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতেন।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ছাত্রদলের প্রাক্তন এই সভাপতি বলেন, ‘৩০ তারিখে ভোট হয়নি, ভোট হয়েছে ২৯ তারিখ মধ্যরাতে। ৩০ তারিখ ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছেন, পুলিশ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন, পুলিশ তো সরকারি চাকরি করে, কেন তাদের এরকমভাবে ব্যবহার করলেন? আপনারা র‍্যাব, ডিসি-এসপি, টিএনও- যারা মর্যাদাশীল, এই চাকরিজীবীদের জাতির সামনে এত ছোট করলেন কেন? তাদেরকে কেন বাধ্য করলেন তথাকথিত ভোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি গণতন্ত্রের আয়নায় নিজেকে দেখেন। দেখলে আপনি দেখবেন, আপনি স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এই চেহারা গণতন্ত্রের সাথে যায় না, ৭১ সালের স্বাধীনতার সাথে যায় না।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এ দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিটা হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি বলেন, ভোট চুরি বলেন, আর যাই বলেন, এরকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন, এটা আমরা মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি হয়তো এই অবস্থায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নাই। কিন্তু এ কথা ভাবার কোনো কারণ নাই, আগামী ৫  বছর সরকার ক্ষমতায় থাকবে। কারণ, যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় অসত্যের পতন হয়। সত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন যা চলছে তা অসত্য।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সময় থাকতে বোঝার চেষ্টা করেন, আপনার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচন যা, ২০১৮ সালের নির্বাচন তা। দেশে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নাই, এখন আছে পুলিশ, প্রশাসন, র‍্যাব। একদিনের জন্য পুলিশ প্রশাসন যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ বুঝবে, কত ধানে কত চাল।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-শিক্ষা সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, মো. শাফিন প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়