ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভ চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভ চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। আর লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং। এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা। আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে কোইকা খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে। কারণ, বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়।

কোইকার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরব, যাতে বিনিয়োগকারীরা এদেশে আসেন।

ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়ে তিনি বলেন, একসময় আমাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য সমস্যা। দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করা হবে।

তিনি জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় সম্পর্কে কোইকার প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙালিরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, সে অবস্থা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও আশা করছি, এই সমস্যার সমাধান হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডাগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুত গতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এছাড়া, গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। একদিক থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য, অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।



রাইজিংবিডি /ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়