ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে নাগরিক ভোগান্তির জন্য মূলত অব্যবস্থাপনা দায়ী। আমরা শুধু শহরে নয়, গ্রামেও সকল নাগরিক সুবিধা পৌঁছানোর অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি। সকল ধরনের নাগরিক ভোগান্তি হ্রাস করে বসবাসযোগ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবহেলা-অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ঢাকা ওয়াসার দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেক দিনের অবজ্ঞা, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থার ওপর মানুষের আস্থা উঠে গেছে। এখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। নতুন উদ্যমে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আগামীতে আমরা অনেক দৃশ্যমান কিছু দেশকে দিতে চাই। দেশকে একটি ভিন্ন অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাইকে সমান সেবা দিতে চাই। আমাদের জন্য একদিন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ছিল চ্যালেঞ্জ। সামনের দিনে বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদেরকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক না হলে পরিণতি ভালো হবে না। আমরা অনেক দূরে যেতে চাই। আর অন্যায় সহ্য করা হবে না। আপনাদের যার যেখানে দুর্বলতা আছে তা এক্ষুণি শোধরান। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে। আর কোনো অন্যায় সহ্য করা হবে না। অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের অগ্রগতি অনেক বাধাগ্রস্ত হয়েছে, আর নয়।

ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের সাথে আমরা শিগগিরই বসব। আশা করি, ঢাকাবাসী একটি কার্যকর সমাধান পাবে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ঢাকা ওয়াসা ঢাকা মহানগর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১ কোটি ৭০ লাখ নাগরিকের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করছে। দৈনিক ২২০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ২৪২ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। ঢাকা ওয়াসার সিস্টেমলস বর্তমানে ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। ভূ-উপরিভাগের পানির উৎস হতে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে পদ্মা-যশোলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প, ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার ও ৫ কোটি ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার ব্যয়ে তেতুঁলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েফিল্ড প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়। সভায় ২০২৮ সালের মধ্যে ১৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩, পদ্মা-যশোলদিয়া পানি শোধনাগার ফেজ-২ ও গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার ফেজ-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে অবহিত করা হয়। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যানের আওতায় দাশেরকান্দি, মিরপুর, উত্তরা, রায়েরবাজার, পূর্বাচল, পাগলা, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুরে মোট ১১ টি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়