ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১০ বছরে শীর্ষ চার পদে সাড়ে ৭৫০০ পদোন্নতি

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০ বছরে শীর্ষ চার পদে সাড়ে ৭৫০০ পদোন্নতি

সংসদ প্রতিবেদক : সরকারের টানা দশ বছরে জনপ্রশাসনের শীর্ষ চার পদে সাড়ে ৭ হাজার জনকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব এবং গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ পর্যন্ত উল্লিখিত পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ পদগুলোতে কর্মরতরা সরকারের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সোমবার জাতীয় সংসদে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের করা এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ১৮৪ জনকে সচিব পদে, এক হাজার ১৩০ জনকে অতিরিক্ত সচিব, দুই হাজার ছয় জনকে যুগ্মসচিব, দুই হাজার ৩৭৩ জনকে উপসচিব এবং বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে এক হাজার ৯৬৬ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের গ্রেড-১ পদে ৯৩ জন, গ্রেড-২ পদে ৩৮৯ জন এবং গ্রেড-৩ পদে এক হাজার ৫৪১ জনকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে প্রতি বছর জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা কর্মচারীদের দুই ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, গত তিন বছরে জাতীয় পর্যায়ে ১৫ জনকে এবং জেলা পর্যায়ে ২৯ জনকে জন প্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া  এ পর্যন্ত ১১৪টি আইন বাংলায় প্রমিতকরণ হয়েছে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৮-৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২৪ হাজার ৩৯১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩৭-৪০তম বিসিএসে আরও ১০ হাজার ক্যাডারের শূন্য পদ পূরণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এর বাইরে গত দশ বছরে সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় নিয়োগের জন্য ৫৮ হাজার ৩১০টি ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। পিএটিসি’র মাধ্যমে কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০ জনকে বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ করিয়ে আনা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুদ্ধাচার চর্চা পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ ভালো কাজের জন্য পুরষ্কার এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তি বা তিরস্কারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগ করার সুযোগ আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেবাগ্রহিতগণ কোন বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হলে সরাসরি লিখিত বা অনলাইনে যে কোনো  স্থান হতে অভিযোগ করতে পারেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা’ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবকে ‘অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ওয়েব সাইটে এই কর্মকর্তার নাম, মোবাইল ও টেলিফোন নাম্বার দেওয়া আছে। এই কর্মকর্তার কাছে আসা অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ফলে সরকারি প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে বিভিন্ন দফতরের ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮১ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড, ১২ জনকে লঘুদণ্ড এবং ২২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে।

দেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি দক্ষ, গতিশীল ও গণমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়