ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেননি ট্রাম্প’

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৫ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেননি ট্রাম্প’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আঁতাত করেননি বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার।

বিবিসি জানিয়েছে, বিশেষ কৌঁসুলি মুলারের ওই তদন্ত প্রতিবেদনের একটি সারসংক্ষেপ রোববার কংগ্রেসের সামনে উপস্থাপন করেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

তবে ট্রাম্প তার পদকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে এ তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেছেন কি না- সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলেননি মুলার। পাশাপাশি ট্রাম্পের কোনো দায় ছিল না- এমন কথাও সেখানে বলা হয়নি প্রতিবেদনে।

মুলার তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অপরাধ করেছেন- এরকম কোনো উপসংহার এই প্রতিবেদন টানছে না। আবার এই প্রতিবেদন তাকে দায়মুক্তিও দিচ্ছে না।’

এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন- ‘কোনো আঁতাত হয়নি এবং কোনো বাধাও দেওয়া হয়নি।’

রোববার প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প বলেছেন, ওই তদন্ত ছিল ‘অবৈধ’ এবং তা ‘ব্যর্থ’ হয়েছে।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার কথিত আঁতাত নিয়ে পরিচালিত এই তদন্তকে বিভিন্ন সময়ে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।’

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের মস্কোর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ২২ মাসের মাথায় মার্কিন কংগ্রেসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন মুলার।

আর এই সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের সাবেক ছয়জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বিচারের মুখোমুখি করেছেন মুলার। এছাড়া কয়েকজনকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।



প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবের নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে সমালোচিত ছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন পুতিন। ট্রাম্পের বিজয়ের পর রাশিয়া কোনোভাবে এতে প্রভাব বিস্তার করেছিল বলে তখন সন্দেহ জোরালো হয়ে ওঠে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও বলা হয়, নির্বাচনের ফলাফল রিপাবলিকানদের পক্ষে নিতে রাশিয়া গোপন কোনো ষড়যন্ত্র করেছিল বলে তারা মনে করছে।

এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিলেন এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জেমস কোমি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করলে একজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে।

কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যদের এই স্বাধীন তদন্তের দাবি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির কিছু সদস্যেরও সমর্থন পায়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান রবার্ট মুলারকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। রিপাবলিকান প্রচার শিবির ও মস্কোর মধ্যে কোনো আঁতাত হয়েছিল কি না- তা খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয় তার ওপর।

এর পাশাপাশি এ বিষয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্তকে ট্রাম্প বাধাগ্রস্ত করেছিলেন কি না এবং এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে ওই তদন্তের কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছিল কি না- তাও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় মুলারকে।

গত শুক্রবার মুলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর শনিবার প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে তা পড়ে সার সংক্ষেপ তৈরি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। এরপর রোববার তার সার সংক্ষেপ সংগ্রেসের সামনে উপস্থাপন করেন তিনি।

কংগ্রেসে পাঠানো চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার মত যথেষ্ট প্রমাণ তদন্তে পাওয়া যায়নি।


 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মার্চ ২০১৯/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়