ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৩ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সোমবার হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) প্রকল্পের চূড়ান্ত ডাটা প্রকাশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবিএস’র মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. দিপংকর রায়, উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ ও বিবিএসের যুগ্ম পরিচালক এককেএম আশরাফুল হক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বিবিএস মহাপরিচালক বলেন, সরকারের উন্নয়নে দেশের দারিদ্র্যের হার কমছে প্রতিনিয়ত। হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশে চূড়ান্ত দারিদ্রের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং হতদারিদ্র্যের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে।

কৃষ্ণা গায়েন আরও বলেন, ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি এবং ২০১৬ সালে ৪৬ হাজার ৮০টি খানা জরিপ করা হয়। দীর্ঘ সময় তথ্য উপাত্তা পর্যালোচনা করেই এ চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে বিবিএস।

এই প্রকল্পের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ব দারিদ্র্য নিরসন দিবসে।

খানার আয় ব্যয়: জরিপ অনুযায়ী দেশের খানা প্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা। মাথাপিছু আয় ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। সর্বশেষ হিসেবে পরিবার ভিত্তিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।

মাথাপিছু আয় ও ব্যয় বাড়লেও খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪১৬ গ্রাম ভাত গ্রহণ করা হলেও এর পরিমাণ নেমেছে ৩৬৭ গ্রামে। ২০১৬ সালে মাথাপিছু গম গ্রহণের প্রবণতা ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রামে। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ০৯ গ্রাম। মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের ২০১৬ সালে ২ হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে নেমে এসেছে। ২০১০ সালে মাথাপিছু গড়ে ২ হাজার ৩১৮ কিলোক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করা হতো।

স্বাধীনতার পর থেকে অর্থের বড় অংশ খাদ্যে ব্যয় করা হলেও এবার খাদ্য বহির্ভূত খাতে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে পরিবারগুলোর গড় অর্থ ব্যয়ের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছে খাদ্যে। এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশে। ২০১৬ সালে খাদ্য খাতে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ ও অন্য খাতে ৪৫ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছিল।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মে ২০১৯/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়