ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালকের বদলি বাতিলে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিই’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২১, ১২ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালকের বদলি বাতিলে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিই’

সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রমজান মাসে আড়ংকে জরিমানা করায় ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলি করা হয়। আমার কাছে বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশনা দিই। আমি বলেছি, তাকে ওই দায়িত্বে রাখতে হবে।’

বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করতে স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সকল স্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোনো দেশের আর্থিক উন্নতি ঘটলে কিছু ক্ষেত্রে টাউট বাটপার বা বিভিন্ন ধরনের সুযোগসন্ধানী লোক সৃষ্টি হয়। তাদের দমন করা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সম্ভব না, এটা সামাজিকভাবেও করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের সমাজের বিভিন্ন মানুষ যেমন শিক্ষক, অভিভাবক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিশিষ্টজন জনপ্রতিনিধি আছেন। তাদের বলবো, প্রত্যেক এলাকায় একটা কমিটি করুন। এ ধরনের কোনো অন্যায় করতে দেখলে কেউ যেন প্রশ্রয় না দেয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপরাধের সাথে আমাদের দলের কেউ সম্পৃক্ত থাকে আমি তাদেরকেও ছাড় দিচ্ছি না, ছাড় দেব না। আর অন্য কেউ যদি করে, তারা তো ছাড় পাবেই না। শাসনটা ঘর থেকেই করতে হবে, তাই করছি। আইন-শৃঙ্খলার কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে, জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব নামিদামি জায়গায় যে কোনো খারাপ কিছু হবে না তাদের মালিকরাও তো এই গ্যারান্টি দিতে পারবেন না। অর্থশালী-সম্পদশালী হলেই তাদের হাত দেওয়া যাবে না, তাদের অপরাধ অপরাধ না, এটা তো হয় না। অপরাধী সে অপরাধীই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘুষ যে গ্রহণ করবে আর ঘুষ যে দেবে, উভয়ই অপরাধী। দুইজনকেই ধরা হবে। শুধু ঘুষ নিলে তাকে ধরা হবে, তা নয়। যে দেবে তাকেও ধরা হবে। কাজেই যে দেবে ও নেবে উভয়ই অপরাধী। অপরাধের যারা উস্কানিদাতা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চাই।’

এর আগে রওশন আরা মান্নানের একটি প্রশ্ন সঠিক হয়নি বলে বাদ দিতে বলেন সরকারি দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম। এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নটা আমি ভালোমতো দেখেই গ্রহণ করি। সংস্থার কেউ কেউ দুর্নীতিবাজ বলে জনশ্রুতি আছে, কথাটা একেবারে মিথ্যা না। আর সবাই তো ধোয়া তুলসিপাতা না। কেউ বলতে পারবেন না, সবাই ১০০ ভাগ সৎ।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমনই বলেন আর খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তর বলেন, সব ক্ষেত্রে দেখা যায়, এমন এমন অনেক বড় জায়গা আছে, যেখানে হাত দিলেই মনে হয় হাতটা পুড়ে যাচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানে যারা অপরাধ ধরতে যায়, তারাই যেন অপরাধী হয়ে যায়। আর কিছু পত্রিকা আছে সাথে সাথে লেখালেখি শুরু করে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে, সঠিক তথ্য জেনে সেটা করার ব্যাপারে।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৯/আসাদ/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়