ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘সেনাবাহিনীর প্রশংসা শুনে গর্বে বুক ভরে গিয়েছিল’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৬ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সেনাবাহিনীর প্রশংসা শুনে গর্বে বুক ভরে গিয়েছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমি যখন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গিয়েছিলাম সেখানে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলসহ সকলেই আমাদের সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তখন গর্বে ও আনন্দে আমার বুক ভরে গিয়েছিল।

রোববার সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের সেনাসদর কনফারেন্স হলে (হেলমেট) সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কর্মদক্ষতা জাতীয় গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রসার লাভ করেছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্যে বয়ে আনছে সম্মান ও মর্যাদা যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করছে।

 



সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত এ পর্ষদের কার্যক্রম আজ শুরু হলো। এ পর্ষদের মাধ্যমে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লে. কর্নেল থেকে কর্নেল পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ অফিসারগণ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পদোন্নতি পাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদোন্নতির জন্য অফিসারদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করার উপদেশ দেন।

সেনাবাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময়ই জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতার কারণে দীর্ঘ প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আপনাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচি-আলীকদম সড়ক নির্মাণ, ৩০০ ফিট রাস্তার আধুনিকায়ন প্রকল্পসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।’ 

 



প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে বিশ্বাসী এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা প্রয়োজনীয় সকল কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। দেশের প্রতিরক্ষা ও বাহিনীসমূহের পেশাগত দক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮’ মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে সেনাসদরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও মূল্যবান দিক নির্দেশনা সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৯/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়