ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান

সাইফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২০ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান

রাইজিংবিডি ডেস্ক : আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটিসহ (আইসিআরসি) আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে আইসিআরসির ডেলিগেশন প্রধান ইখতিয়ার আসলানভ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনে সক্রিয় হোক, যাতে এই বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে পারে।’

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগার লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ার কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আবারো গুরুত্ব আরোপ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আর কত দিন বাংলাদেশ এই বোঝা বহন করবে।

আইসিআরসি ডেলিগেশন প্রধান আশ্বাস দেন যে, এক্ষেত্রে তার সংস্থা বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তিনি বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ উভয়ই রোহিঙ্গাদের দেখভালে এগিয়ে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই সহনশীল।’ ইখতিয়ার আসলানভ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই প্রাজ্ঞ ও যুৎসই।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সম্পাদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এখনো এ প্রসঙ্গে কাজ শুরু করেনি।’ শেখ হাসিনা বলেন, আইসিআরসিসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।

আইসিআরসি ডেলিগেশন প্রধান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার পরে প্রথম দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক সৃষ্টি ও ‘মুজিব কেল্লা’ নামে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের সূচনা করেন।’

১৯৯১ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন সরকার কাজ শুরু করার আগেই ‘আমার দলের লোকজন দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এবং ত্রাণ তৎপরতা শুরু করে।’

আইসিআরসি ডেলিগেশন প্রধান বাংলাদেশে তার কার্য মেয়াদে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র : বাসস



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুন ২০১৯/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়