ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থানে চোখ মার্সেলের

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৭ মে ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থানে চোখ মার্সেলের

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, ২৭ মে : ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের বাজারে অন্যতম শীর্ষস্থানে উঠে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। দ্রুত বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে মার্সেল পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

মার্সেলের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। সম্প্রতি উচ্চমানসম্পন্ন মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু নতুন পণ্য। বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবার কারনে ক্রেতাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মার্সেল।

মার্সেল এর বিপণন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সাত মডেলের রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এবং ২১ ও ১৪ ইঞ্চি টিভি নিয়ে বাজারে আসে মার্সেল। উচ্চমানের পণ্য, সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা এবং দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মার্সেল পণ্য ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুরো দেশকে ১৪ টি অঞ্চলে বিভক্ত করে বিপণন কার্যক্রম চালাচ্ছে মার্সেল।  

‘টু চেঞ্জ লাইফ স্টাইল’ শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলেছে মার্সেল। তাদের পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে ১৪ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, দুই ধরনের নো ফ্র্রস্ট ফ্রিজ, ৩২ ২৯ ২৪ ও ২৩ ইঞ্চি এলইডি টিভি, ২২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি, ৯ মডেলের ২১ ইঞ্চি টিভি, ৪ মডেলের ১৪ ইঞ্চি টিভি, তিন মডেলের (১ টন, ১.৫ টন ও ২ টন) স্পিøট এয়ারকন্ডিশনার, তিন মডেলের মোটরসাইকেল (১০০, ১১০ ও ১২৫ সিসি), সাত মডেলের জেনারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ডিভিডি প্লেয়ার, দুই মডেলের আয়রন  (রেড হার্ট ও ডোরা), দুই মডেলের ব্লেন্ডার (১.৫ ও ১.৭ লিটার), দুই মডেলের ভোল্টগার্ড (৬০০ ও ১০০০) ইত্যাদি।

দেশজুড়ে মার্সেলের রয়েছে ২১৬ টি এক্সক্লুসিভ বিক্রয় পয়েন্ট। নন এক্সক্লুসিভ পয়েন্টের সংখ্যা ২৬৯। এছাড়া ঢাকায় রয়েছে একটি মার্সেল গ্যালারি।

মার্সেল এর বিপণন বিভাগের প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মার্সেল এর অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গড় প্রবৃদ্ধি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মতো।

২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিজেদের দখলে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে মার্সেল। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে মার্সেল ব্র্যান্ডে আরো কিছু উচ্চমানের নতুন প্রযুক্তিপণ্য যোগ হচ্ছে। এটি তাদের বাজার সম্প্রসারণ এবং বাজার আধিপত্য স্থাপনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

মার্সেলের সহকারি পরিচালক শামীম আল মামুন জানান- গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় (আইএসও ৯০০১ এবং ১৪০০১ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কারখানা) ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোটরসাইকেল এবং টিভি তৈরি করছে মার্সেল। বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির মেলবন্ধনে, দেশীয় প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে এদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে মার্সেল পণ্য। আমদানি করা পণ্যের তুলনায় মার্সেল পণ্য অনেক বেশি টেকসই এবং আকর্ষণীয় বলে দাবি করেন তিনি।

মাসের্লের সহকারি পরিচালক রবিউল হাসান সুমন জানান, তাদের পণ্য অত্যন্ত উচ্চমানের। বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির দিক থেকে মার্সেলের অবস্থান দ্বিতীয়। ক্রেতা সন্তুষ্টির দিক থেকে মার্সেল অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে আইএসও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত (আইএসও-৯০০০) দেশব্যাপী বিস্তৃত বিক্রয়োত্তর সেবা বা সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কারণে ক্রেতারা মার্সেল পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি আরো জানান, গ্রাহক সন্তুুষ্টির কারণেই মার্সেল ব্র্যান্ড দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ইউএইচ

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়