ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলা নববর্ষ শুধু উৎসব নয় || সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫০, ১৪ এপ্রিল ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলা নববর্ষ শুধু উৎসব নয় || সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন

বাংলাদেশে নববর্ষ এখন আমরা যেভাবে পালন করছি, যে বাধামুক্ত পরিবেশে নিজেদের মতো করে, এই উৎসব পালনের পরিবেশটি অর্জন করার জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে।

দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত স্বাধীন পাকিস্তানের বাঙালিরা শুরু থেকেই নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বিষয়ে বৈরিতার মুখোমুখি হয়েছিল। বসেছিল না বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের দল। পাকিস্তান হওয়ার আগেই আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, পাকিস্তান হওয়ার আগেই এই চক্রান্তকারীরা কলকাতায় বসেই ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম দিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করেছিল। অথচ তখন পর্যন্ত এই ভূখণ্ডের নাম ছিল পূর্ব বাংলা। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ার পর সরকারিভাবে এই ভূখণ্ডের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান।

পাকিস্তানের বাঙালি দোসররা এই সত্যকেও মানতে চায়নি। অপরদিকে পাকিস্তান শুরুর পর থেকেই যে বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারার সূচনা হয়, তার একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে নাগরিক মধ্যবিত্ত বাঙালি, বিশেষ করে নবগঠিত মুসলমান মধ্যবিত্ত বাঙালি পূর্ব বাংলার বিভিন্ন শহরে বাংলা নববর্ষ উৎসব উদযাপন শুরু করে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। বাঙালি তার স্বকীয় সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রক্ষার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন ছিল। ইতিহাসে তার নজির আছে। সূচনা পর্বে বাঙালিদের এই নতুন ভিন্নমুখী উদ্যোগ পাকিস্তান সরকার ও তার এদেশীয় দোসররা ভালো চোখে দেখেনি। তারা বাঙালি সংস্কৃতির এই নতুন বিন্যাস ও বিকাশ প্রক্রিয়াকে হিন্দুয়ানি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলে যে, বাংলা নববর্ষ উদযাপন পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আদর্শের পরিপন্থি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের অনেক আগেই স্থানীয় একটি পত্রিকায় পাকিস্তানের বাঙালি বন্ধুদের কেউ নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখলেন ‘পাকিস্তানী হুঁশিয়ার’ শিরোনামে। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান ক্ষমতায় আসার পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়। কিন্তু সামরিক শাসন দিয়ে কি একটি জাতির মূল উপড়ে ফেলা যায়?

১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের ভেতর দিয়ে এ দেশের মানুষ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই শুরু আর থামেনি। এর পরবর্তী ঘটনা ‘ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যালয়’র প্রতিষ্ঠা। এই প্রতিষ্ঠানটি ষাটের দশকে বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনা জাগিয়ে তোলায় ব্যাপক সহযোগিতা করে। এদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে স্বীয় দেশজ বৈশিষ্ট্যে জীবনঘনিষ্ঠ করে তোলা। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ছায়ানট’। ১৯৬৪ সালে ঢাকা শহরে বাংলা নববর্ষ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার ভেতর দিয়ে উদযাপিত হয়। ছায়ানটের আর একটি বৈশিষ্ট্য ছিল রমনার বটমূলে ভোর ৬টায় নববর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা করা। প্রাদেশিক সরকার এই দিনটিকে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে। এ অনুষ্ঠানে যে বিপুল জনসমাগম হয় তা দেখে সে সময়ের কোনো কোনো পত্রিকা বিস্ময় প্রকাশ করে। এ বছরের আর একটি বৈশিষ্ট্য ছিল ছোট-বড় অসংখ্যা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।

বাঙালির এই উপচেপড়া আবেগ ক্রুদ্ধ করে পাকিস্তান সরকারকে। তারা রেডিও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত বন্ধ করার পাঁয়তারা করে। ১৯৬৭ সালের জুন মাসে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের বাজেট অধিবেশন বসে রাওয়ালপিন্ডিতে। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে পূর্ব বাংলার সংস্কৃতি ও সে সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের অবস্থান নিয়ে পরিষদের ভিতরে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের প্রচণ্ড বাগবিতণ্ডা হয়। সে সময় সরকারি দলের নেতা ছিলেন বাঙালি আবদুস সবুর খান। তিনি বিষোদগার করে বলেন যে, পয়লা বৈশাখ ও রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনের নামে পূর্ব পাকিস্তানে বিদেশি সাংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তানের ইসলামী জীবনাদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। পাকিস্তানের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। এই পরিষদে বাঙালি নেতারা তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকলে সবুর খান উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে howling idiot বলে উল্লেখ করেন। তখনকার তথ্যমন্ত্রী খাজা সাহাবুদ্দিন রেডিও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিবৃতি দেন।

ততদিনে বাঙালির বুকের ভিতরে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটে গেছে- মরে গেছে পাকিস্তান, জেগে উঠেছে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। শুরু হয়ে যায় রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ। বুদ্ধিজীবীরা এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বর্ণনা করে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য বাংলা সাহিত্য, বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছে, তার সঙ্গীত আমাদের অনুভূতিকে যে গভীরতা ও তীক্ষ্মতা দান করেছে, তা রবীন্দ্রনাথকে বাংলাভাষী পাকিস্তানিদের কাছে সাংস্কৃতিক সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছে।’ বাঙালির এই প্রবল প্রতিরোধের মুখে তথ্যমন্ত্রী রবীন্দ্র সঙ্গীত বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করে নেন।



১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আবার পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ এ সন শুধু আমাদের জীবনে একটি উৎসব নয়, আমাদের জাতিসত্তা বিকাশের প্রবল শক্তিও বটে। কেননা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ভেতর দিয়ে বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রতিবাদী ধারার সঙ্গে গ্রামীণ সাধারণ মানুষের চেতনার ঐক্যবদ্ধ সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক সংগ্রামে এসেছে তীব্রতা, এসেছে তীক্ষ্মতা। এসেছে সব মানুষের একই সমান্তরালে অবস্থানের দৃঢ়তা। এভাবেই সংস্কৃতির এই শুদ্ধতা ছোট-বড় ভেদ মুছে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি বড় অর্জনের সহায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এখন এ উৎসব পালিত হয় শহরে, গ্রামে। নানা ধরনের উৎসব অনুষ্ঠানে, খেলাধুলা, মেলা ইত্যাদি আয়োজনের ভেতর দিয়ে। শহরের অসংখ্য ছোট-বড় জায়গায় আয়োজিত হয় অসংখ্য মেলা, যেগুলো দেশীয় পণ্য সম্ভারে পরিপূর্ণ হয়। এটি নববর্ষ উদযাপনের একটি বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশিভাবে লোকসঙ্গীত, সারি, জারি, ভাটিয়ালি, কবিগান, গম্ভীরা, লালন, হাছন রাজার গান ইত্যাদি আয়োজন বাঙলার নিজস্ব স্বকীয়তা।

গত কয়েক বছর ধরে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছেলেমেয়েরা রাস্তায় আল্পনা করে। নানা ধরনের হাতি, ঘোড়া, বাঘ, পেঁচা, বানর ইত্যাদি তৈরি করে। অসংখ্য মুখোশ বানায় এবং এই সবকিছু নিয়ে এক বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। সঙ্গে ঢোল বাজে, মাদল বাজে এবং একতারা দোতারা ইত্যাদি নিয়ে ছেলেমেয়েরা বাউলের ঢঙ্গে নেচে বেড়ায়। এই আনন্দঘন পরিবেশের আড়ালে শুধু উৎসবই থাকে না, থাকে সংস্কৃতির প্রতিবাদী চেতনার ফল্গুধারা। যা বিভিন্ন আকারে পশু ও পাখির ভেতর দিয়ে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র যার জাতীয় সন বাংলা। বর্তমানে বাংলা নববর্ষ বাঙালির একটি বড় ধরনের ধর্মনিরপেক্ষ সর্বজনীন উৎসব। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নির্বিশেষে সকল মানুষের মহামিলন ক্ষেত্র এই দিন। তাই এই দিন শুধু উৎসব নয়, আত্মিক শক্তিও। বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপন এখনো বাঙালির জাতিসত্তা রক্ষার প্রধান নিয়ামক। যতই মৌলবাদের উত্থান ঘটুক না কেন, মানুষের অন্তর্নিহিত চেতনায় তার ভিতটি বড় মজবুত। সেটা থেকে তাকে কেউ দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না। মৌলবাদের ছোবল হয়ত আসবে কিন্তু এদেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ তাকে প্রতিহতও করবে। শেকড় প্রথিত আছে বাংলা নববর্ষে।

উৎসব মানবিক আবেগের আনন্দঘন এক সর্বজনীন বহিঃপ্রকাশ। এক অর্থে সভ্যতার শুরুর সঙ্গে উৎসবের যোগ নিবিড়। মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেই উৎসব সম্পর্কিত। আর এই প্রসঙ্গে ধরে নিতে হবে যে শুরুর সময়ে এই উৎসব ছিল ব্যক্তির- তার হৃদয়-অনুভবের আনন্দ-উচ্ছল বর্ণাঢ্য প্রকাশ। মানুষ সঙ্গীত, নৃত্য, বাদ্যযন্ত্র, অভিনয়, দেয়ালচিত্র অঙ্কন ইত্যাদির মাধ্যমে আপন সৃজনশীলতার যে প্রকাশ ঘটেয়েছিল, সেটি ছিল উৎসবের সূচনা। কাল পরিক্রমায় তা ব্যক্তি থেকে সমষ্টিতে প্রসারিত হয়েছে, পরবর্তী সময়ে সমষ্টি থেকে গোত্রে, গোত্র থেকে জাতিতে এবং রাষ্ট্র-ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পর কোনো কোনো উৎসব ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।

উৎসব মানুষের মিলন-মেলা। এখানে অংশ নিয়ে সে প্রাত্যাহিক জীবনের দুঃখ-কষ্ট কিংবা গৎ বাঁধা জীবনের ঊর্ধ্বে উঠে অন্যরকম আস্বাদনের আনন্দ উপভোগ করতে চায়। এই আনন্দ তাকে দেয় ক্ষণিকের স্বস্তি এবং একই সঙ্গে তার চেতনায় সঞ্চারিত করে শুভবোধ এবং মঙ্গল চিন্তা। উৎসবের মূল সুর নষ্ট চিন্তার বাইরে সত্য, সুন্দর এবং শুভবোধের মধ্যে আপন চেতনা প্রসারিত করা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘উৎসব’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘উৎসবের দিনে আমরা যে সত্যের নামে বৃহত্তর লোকে সম্মিলিত হই, তাহা আনন্দ, তাহা প্রেম।... উৎসবের দিন সৌন্দর্যের দিন। এই দিনকে আমরা ফুলপাতার দ্বারা সাজাই, দীপমালার দ্বারা উজ্জ্বল করি, সঙ্গীতের দ্বারা মধুর করিয়া তুলি। এইরূপে মিলনের দ্বারা, প্রাচুর্যের দ্বারা, সৌন্দর্যের দ্বারা আমরা উৎসবের দিনকে বৎসরের সাধারণ দিনগুলির মুকুটমণি স্বরূপ করিয়া তুলি।’

পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির নানা ধরনের উৎসবের দিন থাকে, যেটা সবাই মিলে পালন করে। উৎসব একটি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম দিক। একে কেন্দ্র করে প্রবর্তিত হয় জাতির নাড়ির স্পন্দন- জাতির শেকড়ের সন্ধান এইসব উৎসবের ভেতরে মূর্ত হয়ে থাকে। উৎসবের রূপান্তর ঘটে, কিন্তু টিকে তার নির্যাসটুকু- সেই নির্যাস আবার নতুন সময়ে নতুন আদলে ফিরে আসে মানুষের মাঝে।

উৎসব মানুষের মহামিলনকে মূর্ত করে দেয় মানবিকতার ছোঁয়ায়। উৎসব শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, উৎসব আবেগের, উৎসব পরিচয়ের। বাঙালির জীবনে উৎসব শুধু সামাজিকতা কিংবা আনুষ্ঠনিকতা নয়। এখানে কোনো উৎসব শোক এবং শক্তির মিলনক্ষেত্র, কোনো কোনো উৎসব অসাম্প্রদায়িক মানবপ্রীতির নিদর্শন। অন্যদিকে এইসব উৎসবের বৈচিত্র্য, বিশিষ্টতা এবং এ নান্দনিক মাধুর্য বাঙালিকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে।

বৈশাখের দাবদাহ শুধু পোড়ায় না- তাকে সুন্দর স্নিগ্ধও করে। জীবনের যা কিছু প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথ বৈশাখের প্রকৃতির মাঝে তাকে অনুভব করেছেন। বলেছেন-

“বৈশাখ হে মৌনী তপস, কোন অতলের বাণী

এমন কোথায় খুঁজে পেলে।

তপ্ত ডালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি

এল গভীর ছায়া ফেলে।

হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আমার ভাষা উঠল বেজে

দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে।’’

প্রকৃতির এমন বিচিত্র রূপই শুধু ধরণীর সৌন্দর্য নয়, মানুষের জীবনবোধের বহুরূপ অভিধাও এই সৌন্দর্য। বাঙালির বিকশিত মনন-চেতনার এমন ব্যাখ্যা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কে করতে পারে। প্রকৃতি ও মানুষকে তিনি দেখেছেন নদী-বিধৌত এই বাংলাদেশে। বাংলা নববর্ষ বাঙালির। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাঙালির আপন আলোয় ভরে-ওঠা সূর্যোদয়।

লেখক : কথাসাহিত্যিক, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৬/তারা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়