ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ধর্ষণ ও আমাদের সমাজ

জাফর উল্লাহ সোহেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১০ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধর্ষণ ও আমাদের সমাজ

জাফর উল্লাহ সোহেল : কিশোর বয়সের একটা ঘটনা এখনো বেশ মনে পড়ে। ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে গিয়েছিলাম পরিবারের সকলের সাথে। সেখানে গিয়ে দেখি প্রতিবেশী আরেক পরিবার।

মফস্বল শহরের অলিগলিতে তখন বেশ ভিড়। আমরা কাছাকাছি একসঙ্গে হাঁটছিলাম। হঠাৎ একটা দৃশ্য আমাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিল। মধ্যবয়সী এক লোক কোথা থেকে হুট করে আমাদের দলে ভিড়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সেই ব্যক্তি প্রতিবেশী পরিবারটির কিশোরী মেয়ের পেছনটা খামচে ধরল! কয়েক সেকেন্ড, ব্যস মুহূর্তেই হাওয়া হয়ে গেল লোকটি। ঘটনার আকস্মিকতায় আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হল না। মেয়েটি পেছন ফিরে দেখল আর কেউ দেখেছে কি না। লজ্জায় তার মুখ লাল হয়ে গেল। আমি ঘটনা দেখলেও মেয়েটি যাতে টের না পায় সেজন্য তার দিকে তাকালাম না। পরে একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এ ঘটনা কাউকে জানিয়েছে কি না। সে বলেছে, না, লজ্জা লাগে!

ঘটনাটি এখানে অবতারণার উদ্দেশ্য কেউ কেউ হয়ত বুঝতে পারছেন। হ্যাঁ, বাঙালি নারী মাত্রই সবার আগে যে বিষয়টি আসে, সেটি হল তার লজ্জা। আর এই লজ্জা বাঙালি নারীর ভূষণ। নারী তার সম্ভ্রমহানির কথা মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারে না। এমনকি আপনজনকেও না। তার কাছে মনে হয়, এতে সে মাটির সাথে মিশে যাবে। সমাজে সে করুণা, কটাক্ষ, আর হাসির পাত্র হবে। তার মনে হয়, এই তার একমাত্র দুর্বলতা যা সমাজের মানুষ আজীবন মনে রাখবে, আজীবন বলবে- ঐ যে অমুকের ময়ে, অমুক ঘটনা তার সাথে হয়েছিল!

এখন এই বাঙালি নারী তার সমস্ত লজ্জা ভুলে, সমাজের কটাক্ষ দৃষ্টি ভুলে, পরিবারের সম্মানহানির ঝুঁকি নিয়েও যখন বলে ‘আমি ধর্ষিত হয়েছি, আমার সর্বস্ব লুট করা হয়েছে, আমাকে বাকী পৃথিবীর কাছে নগ্ন করে দেয়ার চেষ্টা চলছে-’  আমরা তা বিশ্বাস করি না; এদেশের পুলিশ তা বিশ্বাস করে না।  কী দুর্ভাগা সময়ে এই দুর্ভাগ্য সমাজে জন্ম তাদের! এই দেশে কি এই হওয়ার কথা ছিল ? এজন্যেই কি ২ লক্ষ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম দিয়ে এই দেশটির মুক্তি এনেছেন?

আসুন একবার ঘটনায় চোখ বুলাই। দু’জন তরুণী। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বনানী থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ দিল, দুই তরুণ জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেল কক্ষে অস্ত্রের মুখে তাদের ধর্ষণ করেছে, ইয়াবা বড়ি খেয়ে সেটা হয়েছে বেশ কয়েকবার, তাদের গাড়িচালক এই ঘটনা ভিডিও করেছে এবং এখন ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে ধর্ষকরা হুমকি দিচ্ছে। থানার লোকজন তা বিশ্বাস করতে চায় না।

কিন্তু কেন? জানা গেল সংশ্লিষ্ট তরুণেরা সমাজের প্রভাবশালী উচ্চমার্গীয় পরিবারের সন্তান। থানার লোকজন প্যাঁচ ধরে বলে, তাহলে ৪০ দিন পরে কেন অভিযোগ করছেন? তরুণীরা বলেন, প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ দিতে আসিনি। এখন তারা আরো হয়রানি করছে আর ইন্টারনেটে ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেবে বলছে- তাই নিরূপায় হয়ে থানায় এসেছি। এরপরও দারোগা বাবুদের বিশ্বাস হয় না, তারা মামলা নেবে না।

কেন ? জানা গেল ধর্ষকরা ভেতরে ভেতরে অর্থের টোপ ফেলেছে এবং এরা যে থানায় আসতে পারে তা আগে থেকেই ধর্ষক ও পুলিশ উভয়েই অবগত। বাহ্ কী চমৎকার! এখন যদি কেউ শ্লোগান তোলে ‘ধর্ষক-পুলিশ ভাই ভাই, তরুণীদের রেহাই নাই’-  এটা কি খুব ভুল কিছু হবে?

এখানে কণ্ঠ চেপে ধরে কেউ বলতে পারেন ‘এই চুপ, ধর্ষক কে বলেছে ? প্রমাণ আছে ? কাউকে আগে থেকেই ধর্ষক বানিয়ে দিচ্ছেন কেন? হ্যাঁ, আশ্চর্যের কথা হল- এটা অলরেডি বলা হয়ে গেছে। কে বলেছেন ? মাননীয় এক ধর্ষকের বাবা। তিনি আবার এ বিষয়ে বেশ খোলামেলা, একেবারে খাঁদহীন স্বর্ণের মতো। তিনি বলছেন- না, কীসের ধর্ষণ, এটা তো মিউচ্যুয়ালিও হতে পারে! মেয়েরা তার ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। আহা, ধন্য ছেলের ধন্য বাবা। মুখ ফুটে আর এটুকু বললেন না- মেয়ে দুটোই তাঁর ননীর পুতুল ছেলেকে ধর্ষণ করেছে ! তাহলে বিষয়টা আরেকটু মাজেজা পেত।

আমাদের পুলিশ বাহিনীও বেশ বলতে হবে। তাঁরা অযথা বিনা প্রমাণে কাউকে আটক করার ঝামেলায় যেতে চায় না। তাঁরা কেউ তদন্ত করছেন আর কেউ ছায়া তদন্ত করছেন! এর মধ্যে জানা গেল, পুলিশ এক ধর্ষকের বাড়িতেও গেছেন, চা-নাশতা আলাপ-টালাপ করে এসেছেন। কিন্তু বাসায় আসামি আছে কি না তা জিজ্ঞেসও করেননি, ধরার চেষ্টা তো দূরের কথা। ছেলের বাবা একটু রেগে গিয়েই বললেন- ‘পুলিশ ধরবে কেন ? পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্তে কিছু পেলে তবেই না ধরবে।’

তাই তো, তদন্তে কিছু না পেলে পুলিশ কী করতে পারে? পুলিশ কেন মাসুম বাচ্চাদের ধরে নেবে? কুমিল্লায় তনু ধর্ষণ এবং হত্যায় কি কাউকে ধরা হয়েছে ? হয়নি। কেন ? তদন্ত চলছে, প্রমাণ পেলে তারপর ধরবে। আচ্ছা, অপরাধ মামলায় পুলিশ কখন আসামি ধরে ? বনানী থানার এই নিউজটি পড়ার সময়েই পাশে আরেকটি নিউজের লিংক পেলাম। ‘ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন আটক’। বিবরণ- এক স্কুলছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে, তার বর্ণনা অনুযায়ী অভিযুক্ত সন্দেহভাজন দুজনকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর অভিযুক্তদের খুঁজে খুঁজে ধরে আনে। মামলা এখনো তদন্তাধীন এবং কোনকিছুই প্রমাণিত হয়নি। তাহলে ৪ জনকে আটক করা হল কেন ? এই আটক যদি জায়েজ হয় তাহলে বনানীর ঘটনায় আটক করার বিষয়টি হয় না কেন?

কেউ ধৈর্য্য হারিয়ে আমাকে গালি দিয়ে বসতে পারেন- আরে এত হিসাবের কী আছে? আসলে হিসাবের কিছু নেই। ননীর পুতুল ধর্ষকদের বাঁচানোর জন্য গোটা ঢাকা নগরীর থানা-পুলিশ থেকে নিয়ে উচ্চমার্গীয় নানা জায়গায় স্বর্ণকার সাহেবের যে তৎপরতার কথা বাতাসে শোনা যাচ্ছে তাতে একটু আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হচ্ছে- আসলে পুলিশের কাজ এই মুহূর্তে কী?

পুলিশের কাজ হল ধর্ষিত তরুণীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ত্বরিত গতিতে আসামি ধরে আনা। কারণ, সভ্রমহানির মতো বিষয় যেভাবে তারা বর্ণনা করেছে, এমনকি ভিডিও করার চিত্রও যেভাবে তুলে ধরেছে, তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না যে তারা ধর্ষিত হয়েছে। এখন মামলার আসামিরাই দোষী কি না তা তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে কীভাবে প্রমাণিত হবে?

আসামিরা যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে তো ক্ষতিপূরণ মামলা করতে পারবেন, তাঁদের ধনী বাবার এত চিন্তা কেন? সন্তানকে আইনের হাতে দিয়ে তাকে কেন নির্দোষ প্রমাণ করছেন না? শহরের বড় বড় সব উকিল ব্যারিস্টার কেনারও তো ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে। এ জাতি তো এটা দেখতেই চায় যে আজকাল কীভাবে মেয়েরা ছেলেদের ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে! ধর্ষণ করে!

একেকটি ঘটনা ঘটে আর সমান তালে চলে আলামত নষ্ট বা লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা। তনুর দেহকে তদন্ত করে প্রথমবার ধর্ষণের কোন আলামতই পাননি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার! এখন এই দুই মেয়ের ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা চলছে। নমুনা সংগ্রহ করেই এক ডাক্তার ইতিমধ্যে বলে ফেলেছেন এক মাস পার হয়ে যাওয়ায় ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। রিপোর্ট প্রকাশের আগেই এ ধরণের নেতিবাচক মন্তব্যের দরকার কী। তারা কি এরই মধ্যে পকেটে স্বর্ণ পুরে নিয়েছেন? সন্দেহ জাগে বৈকি। আবার হোটেল কর্তৃপক্ষও এরই মধ্যে ফলাও করে প্রচার করেছে, ঐ রাতের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ তাদের হাতে নেই। তারা কেবল একমাসের ফুটেজ সংরক্ষণ করেন। কেন? কে জানে, এই ঘটনা যদি ১৫ দিন আগের হত, তারা হয়ত বলত- আমরা তো কেবল ১০ দিনের ফুটেজ সংরক্ষণ করি! আবার ধর্ষক ভদ্রলোকেরা যে সেদিন হোটেলে ছিলেন, তার এন্ট্রি খতিয়ানও নেই। বাহ্ কী দারুণ, কী চমৎকার!

ধরে নিলাম ডাক্তারি পরীক্ষায় কোন আলামত পাওয়া গেল না সময়ের কারণে, তাহলে কি ধর্ষিত মেয়েদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আর কোন উপায় নেই? একাত্তরে যে নারীরা ধর্ষিত হয়েছিলেন, তাদের আলামত কি রেখে দেয়া হয়েছিল? হয়নি। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের সম্ভ্রমহানির বিচার কিন্তু হয়েছে। তাহলে ৪০ দিন পরে যদি কেউ মনে করে তার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার হওয়া উচিত, না হলে সমাজে এরকম অন্যায় আরো হতে থাকবে, আরো অনেকে এর শিকার হবে- তবে কেন সে প্রতিকার পাবে না ?

আফসোসের বিষয় এই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমনকি সমাজের উচ্চশিক্ষিত দাবিদার কিছু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিও এই প্রশ্নটাই করছেন- কেন মেয়েরা ৪০ দিন পরে অভিযোগ দিল। আজকের দিনে যেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তা এই প্রশ্নের উত্তর মেয়েরা দিয়েছেনও। কিন্তু তাদের কথায় বিশ্বাস করা যাবে না বরং বিশ্বাস করা যায় ধর্ষকদের কথায়, তাদের প্রভাবশালী বাবার কথায়!

এখানে দুরকম বিষয় হতে পারে। মেয়েরা মিউচ্যুয়ালি হোটেলে রতিরঙ্গ করতে পারে, আবার ধর্ষণেরও শিকার হতে পারে। তাই নয় কি? আপনি বলছেন প্রথমটাই হতে পারে। মানলাম। কিন্তু জনাব, দ্বিতীয় অপশনকে আপনি একেবারে ফেলে দিচ্ছেন কোন যুক্তিতে? যদি দ্বিতীয়টা সত্য হয় একবার ভেবে দেখুন, কী পরিমাণ শারীরিক আর মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে এই দুই শিক্ষার্থীকে?

একবার ফিরেই দেখুন না এই ৪০ দিন প্রতিটা মুহূর্ত তাদের কেমন কেটেছে, কেমন কেটেছে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের। যে বাবা জানতে পেরেছে তার মেয়ের প্রতি এমন অনাচার হয়েছে তার বুকের ভেতরে কী পরিমাণ ব্যথা চেপে বসেছে, যে মা শুনেছে মেয়েকে নারকীয় কায়দায় লুটেছে হায়েনারা তার রাতের ঘুম কি হারাম হয়ে যায়নি?            

নানা কারণে আমাদের সমাজের নারীরা সাথে সাথে আইনের আশ্রয় নিতে পারে না। সবচেয়ে বড় কারণটা শুরুতেই বলেছি, লজ্জা। এ লজ্জা তার একার নয়। পরিবারও যেন লজ্জায় না পড়ে সে বিষয়টাও ভাবতে হয়। তারপর আছে ভবিষ্যতের বিষয়। বাঙালি কোন বীরপুরুষ আছেন, যিনি বিনা বাক্যব্যয়ে একজন ধর্ষিতা নারীকে জীবনসঙ্গী করতে এগিয়ে আসবেন? আমরা দূর থেকে অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু ঘটনা আসলে কী, আর এর যাতনাই বা কতটুকু, তা কেবল বোঝে যার বা যাদের সঙ্গে হয় তাঁরা।

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, ঢাকা নগরীর নানা জায়গায়, হোটেল রেস্তোরাঁয় ফুর্তি করা এখন কোন বিষয়ই নয়, এটা মামুলি ঘটনা। মানলাম। এমন হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা হল স্বেচ্ছা আর অনিচ্ছা। আপনি নিজের ইচ্ছায় যা খুশি তা করেন, তাতে কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু জোর করে কিছু করতে পারেন না। এখানে অভিযোগটা আনা হয়েছে জোর খাটানোর বিষয়ে। প্রমাণ করার বিষয়ও তাই। জোরে হয়েছে নাকি বিনা জোরে।

অভিযুক্তের বাবা প্রথমদিনই কিন্তু প্রকারান্তরে শিকার করেছেন ৪০ দিন আগে তাঁর ছেলে হোটেলে কিছু একটা করেছেন, তাঁর কথা হল সেটা আপসেই হয়েছে। ভারতে নির্মিত পিংক ছবির বিষয়টি এখানে বেশ প্রাসঙ্গিক। সেখানেও একজন নারীকে আদালতে প্রমাণ করতে হচ্ছিল তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। উকিলের চরিত্রে অভিনয় করা অমিতাভ বচ্চনের একটা বক্তব্য বেশ জোরালো একটা ম্যাসেজ দেয় সমাজের প্রতি। আদালতকে তিনি বলছিলেন ‘নো মিনস নো’, সেটা মেয়েবন্ধু বলুক, স্ত্রী বলুক বা অপরিচিত নারী বলুক, আপনাকে তার ‘না’ - কে সম্মান করতে হবে। অর্থাৎ কোন নারী যখন বলে আমি এখন যৌন সংসর্গ করব না, তখন এটিকে না - ই ধরতে হবে। জোর খাটানো যাবে না। জোর খাটালে তা এমনকি নিজ স্ত্রী হলেও ধর্ষণ বলেই গণ্য করা উচিত। এখন হোটেল রেইন ট্রিতে ৪০ দিন আগের মধ্যরাতে কী হয়েছিল, জোর হয়েছে কি হয়নি, তা সাক্ষী-সবুতের ভিত্তিতে প্রমাণের বিষয়। কথা হল আপনি প্রমাণ করতে চান কি চান না। এদেশের পুলিশ প্রমাণ করতে চায় কি চায় না।

লেখক : সাংবাদিক।

(মতামত লেখকের নিজস্ব)



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মে ২০১৭/আরিফ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়