ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সাইফুল আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৬ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে (২০১৭-২০১৮) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়।

এর মধ্যে জীববিদ্যা-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থবিদ্যা-২০, ইংরেজি-১৫, সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি-৬ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে ৪ নম্বর ছিল। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ২০টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত আদালত বহাল রেখেছেন।

এ বছর বছরের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৮২ হাজার ৭৮৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। দেশে সরকারি ৩১টি মেডিক্যাল কলেজে আসন ৩ হাজার ৩১৮টি। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে ২৪ জনের বেশি। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রতি আসনের বিপরীতে আটজনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।

শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ বলেন, এক দল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি কঠোর গোপনীয়তায় প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজ শেষ করে। প্রশ্নপত্র ছাপাও সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব কেন্দ্র প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র একজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের তত্ত্বাবধানে পুলিশি পাহারায় অত্যন্ত নিরাপত্তার সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সফলতার সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিগত বছরের মতো এবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, ক্যালকুলেটর, ঘড়িসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

এদিকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটার বিষয়ে চেম্বার বিচারপতির দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা চেম্বার আদালত স্থগিত করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা তৈরির সময় দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্তই বহাল থাকল।

বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) দুটি আবেদনের শুনানি করে দায়িত্বরত বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই এ বিষয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কি না তা সরেজমিন দেখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শতাধিক সদস্যের একাধিক পরিদর্শক টিম গঠন করা হয়। সাধারণত তিন থেকে চার সদস্যের প্রতিটি পরিদর্শক টিমে সচিব থেকে শুরু করে উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, নাইমুল ইসলাম খান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ অক্টোবর ২০১৭/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়