ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নিরাপত্তার জন্যই খালেদার মামলার কোর্ট স্থানান্তর

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরাপত্তার জন্যই খালেদার মামলার কোর্ট স্থানান্তর

সচিবালয় প্রতিবেদক : রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিরাপত্তার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার কোর্ট স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খালেদা জিয়ার মামলার কোর্ট রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটা মোটেও রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি বরং আমরা দুই পক্ষেরই সিকিউরিটির ব্যাপারটা চিন্তা করেই তার মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন খালেদা জিয়া যেদিন আদালতে হাজিরা দিতে যান সেদিন তিন চারশ লোক জড়ো হন। এসব লোকের কারণে অনেক সময় সিকিউরিটির বিঘ্ন ঘটে। আদালতের নিরাপত্তা এবং তার (খালেদা জিয়া) সিকিউরিটির বিষয়টিও আমাদের দেখা দরকার। এ দুই দিক বিবেচনা করেই আমরা মনে করেছি তার মামলার কার্যক্রম সেখানে (বকশিবাজার) স্থানান্তর করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

খালেদা জিয়ার মামলা শেষ করতে সরকার তড়িঘড়ি করছে করছে কিনা- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘না, তার মামলা ডিউ প্রসেসে শেষ হচ্ছে। তার এমন মামলাও আছে যা ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। সেক্ষেত্রে তার কোনো মামলাই দ্রুততার সাথে শেষ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিসে দেখা করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত  লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার সাবিনা আকতার। সৌজন্য সাক্ষাতে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

স্পিকার সাবিনা আকতারের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তার সঙ্গে প্রবাসীদের আইনি সহায়তা, যুদ্ধাপরাধ মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনাসহ অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমি তাকে অনুরোধ করেছি বিপদে পড়লে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কীভাবে আইনি সহায়তা দেওয়া যায় সে বিষয়ে একটি উদ্যোগ নিতে। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধ মামলার সাজাপ্র্রাপ্ত পলাতক আসামি চৌধুরি মইনুদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামানকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে তার সহযোগিতা চেয়েছি। যেহেতু আমাদের দেশের আদালত তাদের উক্ত মামলায় সাজা দিয়েছেন।

বৈঠকে লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

প্রধান বিচারপতির নিয়োগ কবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটাতো এখন আমি বলব না। দেখুন আমি এর আগে একাধিকবার বলেছি প্রধান বিচারপতির নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিষয়। এটা উনিই দেখবেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়