ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাস্তায় গাছ ফেলে ইবি ভিসির ওপর হামলা

শাহাব উদ্দীন অসীম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাস্তায় গাছ ফেলে ইবি ভিসির ওপর হামলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর উপর হামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের গাড়াগঞ্জের বড়দাহে রাস্তায় গাছ ফেলে তার গাড়ি আটকানো হয়।

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর রশিদ বলেন, “রাত ১০টার দিকে আমি ঢাকা হতে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেই। পথে ঝিনাইদহের বড়দাহে রাস্তার উপর গাছ পড়ে থাকতে দেখি। তখন আমার ড্রাইভার বলল- স্যার বিষয়টি ভালো মনে হচ্ছে না। তখন ড্রাইভার গাড়ি পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পেছনে ট্রাক থাকায় পেছনে বেশি দূর যাওয়া যায়নি। সেই মুহূর্তে পিছন দিক হতে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে আমার গাড়ির উপর হামলা করে। উপর্যুপরি আঘাতে গাড়ির বাম পাশের গ্লাস ভেঙে যায়। ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি সামনের দিকে নিয়ে আসে। কিন্ত সামনে পড়ে থাকা গাছ  অনেক বড় হওয়ায় সেটাকে অতিক্রম করা যায়নি। তখন ড্রাইভার বলল- স্যার তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পালান। আমি গাড়ি থেকে নেমে জাম্প দিয়ে রাস্তার পাশে নেমে যাই। তারপর হামাগুড়ি দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ি। ততক্ষণে তারা আমাকে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যায়। তখন তারা আমার দিকে দূর থেকে টর্চ লাইট মেরে বলে- এই যে দেখা যাচ্ছে। তারা রামদাসহ আমার দিকে আসছিল। তারা নেমে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।’’

ভিসি বলেন, ‘‘তারপর আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমাকে সেখান হতে অস্ত্র দেখিয়ে গাড়ির কাছে নিয়ে গেল। গাড়িতে যাওয়ার পর দেখলাম আমার মানি ব্যাগটা নেই। আমার ধারণা, তারা আমার মানিব্যাগ আগেই সার্চ করেছে। তখন আমি প্রাণের ভয়ে বললাম, আমার ল্যাপটপটা নিয়ে যান। তারা ল্যাপটপ নিতে অস্বীকার করল।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমাকে গালমন্দ করে বলল- এখান হতে একদম নড়বি না। তারা গাড়ির পিছনের দিকে চলে গেল। আমি তখন গাড়ির মধ্যে বসে পড়লাম। পরে মনে হলো- আবার হামলা হয় কি না। পরে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনের দিকে দৌঁড়াতে থাকি। তারপর হাতের বাম পাশে আবছা অন্ধকারে একটা বাড়ি দেখতে পাই। বাড়ির কাছে গিয়ে চিৎকার করে বলি- বাসায় কেউ আছেন? তখন একজন বুড়ো লোক আমার ডাকে সাড়া দেয়। সেই লোককে আমি সব খুলে বলি। তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাচ্চু নামের এক কর্মকর্তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকে বললাম- প্রক্টরের নম্বর থাকলে ফোন দাও। তারপর পুলিশ গিয়ে আমাকে নিয়ে এসেছে। ওই দিকে কী ঘটেছে তা আমি জানি না।’’

শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটাকে ডাকাতি হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে আমরা তদন্তে নেমেছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।”


রাইজিংবিডি/ইবি/২৬ জানুয়ারি ২০১৭/শাহাব উদ্দীন অসীম/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়