ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

তুমি সেই বিশল্যকরণী || মিনার মনসুর

মিনার মনসুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তুমি সেই বিশল্যকরণী || মিনার মনসুর

ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

তিন বছর আগে, আরেক পহেলা বৈশাখে, তোমার তেজোদীপ্ত চির অমলিন মুখে যারা কালিমা লেপন করেছিল সেই কুলাঙ্গাররা ঠিকই হাওয়া হয়ে গেছে। তোমাকে উদযাপন করতে গিয়েছিল তোমার আশীর্বাদধন্য এ মাটির পুত্রকন্যারা। দখলে-দূষণে দম বন্ধ হয়ে আসা এই রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে সেজেগুজে পাহাড়ি ঝরনাধারার মতো এসে তারা মিলিত হয়েছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায়। সঙ্গে নিয়ে এসেছিল নানা রঙের ফুল আর অদম্য যৌবনের আশ্চর্য সুঘ্রাণ। শুভ্র সুসজ্জিত শিশুরাও ছিল। সাদা আর লালের এক বিশাল ক্যানভাস হয়ে উঠেছিল ধূলিময় জরাগ্রস্ত এই রাজধানী। তোমার মতো একই অঙ্গে ধারণ করেছিল শান্তি আর অগ্নিকে- ধ্বংস আর সৃষ্টিকে। বরাবরের মতোই তোমার অগ্নিস্নানে শুচি হতে এসেছিল তারা। সেখানেই নারীদের ওপর হামলে পড়েছিল বাংলার আলো-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা অপচ্ছায়ারা। অথচ ইতঃপূর্বে বহিরাগত ঠগি-বর্গি-পাকিস্তানি হানাদাররা ছাড়া এমন দুঃসাহস কেউ করেনি এই বাংলায়।

তারপর ওরা সত্যি সত্যি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল; যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই। তিন তিনটি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। পাইকপেয়াদারা নাকি কাউকেই খুঁজে পায়নি! তারা হয়ত ভেবেছিলেন, ছায়ারা তো বাতাসে মিলিয়ে গেছে। কেউ আর তাদের দেখতে পাবে না। অদর্শনে একসময় জনতা ঠিকই ভুলে যাবে সবকিছু। কিন্তু তারা জানেন না, এ অপচ্ছায়াদের বিনাশ নেই। প্রতিটি দুষ্কর্মের পর তাদের ঔদ্ধত্য আরো বেড়ে যায়। বেড়ে যায় দুষ্কর্মের ক্ষুধা। সমাজের যত ক্লেদ আর আবর্জনা খেয়ে তারা আরো মোটাতাজা হয়। তারা ফিরে ফিরে আসে। এবং তারা ঠিকই ফিরে এসেছে। হুমায়ুন আজাদের মতো একই স্থানে একই কায়দায় অভিজিতের রক্তে রঞ্জিত করেছে বইমেলার পবিত্র মাটি। তারপর যথারীতি হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল। পাইকপেয়াদারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল রক্তের দাগ মুছে ফেলতে। তারা ভেবেছিল, ছায়া তো ছায়াই! কিন্তু সেই অপচ্ছায়ারা ফিরে এসেছিল শতগুণ শক্তিশালী হয়ে। তাদের একের পর এক বীভৎসতা স্তব্ধ করে দিয়েছিল হাজার বছরের বাংলার অহিংসা ও সম্প্রীতির স্নিগ্ধ হৃৎপ্রবাহ। বাংলার ইতিহাসে এখন এক অমোচনীয় ক্ষতের নাম- হলি আর্টিসান। রমনা বটমূলের তাণ্ডবই-বা আমরা বিস্মৃত হই কীভাবে? সেই ক্ষতও তো সহজে মুছে যাবার নয়।

আমরা যখন তোমাকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, হে বৈশাখ- ঠিক তখনই তারা আবার হামলা চালিয়েছে দেশের অন্যতম উজ্জ্বল বাতিঘরটির ওপর। তুমি ভাবতে পারো, যে-কাজটি পাকিস্তানি কিংবা পরবর্তী সময়ের সামরিক স্বৈরশাসনামলে করার সাহস পায়নি কেউ, সেই কাজটিই তারা করেছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি উৎসব চলাকালে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ওপর হামলার দুঃসাহস অতীতে কেউ দেখিয়েছে এমন নজির নেই। সর্বোপরি, সেখানে পুলিশের সার্বক্ষণিক পাহারাও ছিল। তার মধ্যেই জনপ্রিয় লেখক ও অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও অন্তত ২৬টি সেলাই দিতে হয়েছে তার মাথায়। ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সন্দেহভাজন ঘাতকের এ মুখটি আমাদের চেনা। বহু বছর পূর্বে কবির শ্যামলীর বাসায় ঢুকে চাইনিজ কুড়াল হাতে যারা শামসুর রাহমানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল নিশ্চিতভাবে সেখানে সেও ছিল। তবে ভিন্ন নামে ভিন্ন পোশাকে। কিন্তু জাফর ইকবালের ওপর হামলার মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাংলা মোটরে কলেজপড়ুয়া ছাত্রীটির ওপর হিংস্র হায়েনার মতো দলবদ্ধভাবে যারা হামলে পড়েছে তাদের কি আমরা চিনি? মনে রাখতে হবে, দিনটি ছিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এটি অন্যসব ৭ মার্চের মতো নয়। এ দিনটির আলাদা একটি তাৎপর্য ছিল। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তারই উদযাপন চলছিল সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু এ ভাষণটি দিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে। সমাবেশমুখী মানুষের চাপে রাস্তাঘাট গাড়িশূন্য হয়ে পড়েছিল। ফলে রাজধানীর স্বনামখ্যাত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ ছাত্রীটিকে পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছিল দীর্ঘপথ। মেয়েটি ঘটনার একটি হৃদয়স্পর্শী বিবরণ দিয়েছে ফেইসবুকে। বলেছে, এদেশে সে আর থাকবে না। তিনবার বলেছে কথাটি।

সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি হলো, অপচ্ছায়াগুলো মেয়েটিকে লাঞ্ছিত করার সময় ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়েছে। শুনে আমি শিহরিত হয়েছি। যে জয়বাংলা শ্লোগান ছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি, যে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করেছে এদেশের লাখো মানুষ, যে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে আমরা একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি বছরের পর বছর- সেই শ্লোগানের এ অবমাননা আমরা সহ্য করবো কীভাবে? কারা এরা? আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, এটিও নানামুখি ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারেরই একটি অংশ। কিন্তু ইতোমধ্যে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পাওয়া গেছে কিছু ভিডিও ফুটেজ। আক্রান্ত মেয়েটির সহপাঠী, স্বজন ও পরিচিতজনেরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা গুরুত্বপূর্ণ দুটো বক্তব্য পেয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত চলছে। দায়ীদের ছাড়া হবে না। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ ঘটনায় দলের কোনো দায় নেই। দায় সরকারের। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে আমি ছাত্রলীগ করতাম। সেই সূত্রে তিনি সরাসরি আমার নেতা ছিলেন। সে কারণে তাঁর এ বক্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আমি খানিকটা দুঃখ পেলেও তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু চারপাশের যে-গুঞ্জনটি শুনে আমি আতঙ্কিত বোধ করছি তা হলো- এ দুর্বৃত্তরাও হাওয়া হয়ে যাবে। মিলিয়ে যাবে বাতাসে। আমি কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, এ গুঞ্জন যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কিন্তু মনে তেমন জোর পাই না। কারণ যারা চাপাতি হাতে মুক্তবুদ্ধির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আর যারা ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে নারীকে লাঞ্ছিত করে কিংবা জবরদখল করে সংখ্যালঘুর জমি- তাদের মধ্যে আমি কোনো তফাৎ খুঁজে পাই না।

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হেনরি কিসিঞ্জার সাহেব চার দশক আগের বাংলাদেশকে এখন আর কোথাও খুঁজে পাবেন না। ফলে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখে তাদের ‘বিস্মিত’ হওয়ারই কথা। সমাজ ও অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা এতটাই দৃশ্যমান যে তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জন্যে কোনো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন পড়ে না। পদ্মা সেতুর মতো বিশাল অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে নিজের অর্থে। কিন্তু তার চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, ‘মঙ্গা’ শব্দটি উধাও হয়ে গেছে সংবাদপত্রের পাতা থেকে। মানুষের আয়, আয়ু ও জীবনমান সবই বেড়েছে। কিন্তু কোথায় যেন গুরুতর একটা গড়বড় হয়ে গেছে। বায়ান্নোতে-একাত্তরে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেই বাঙালিকে যেন আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হেন অপকর্ম নেই যা এখন সংঘটিত হচ্ছে না তার দ্বারা। সে এখন পোকা-মাকড়ের মতো মানুষ খুন করছে। ব্যাংক-শেয়ার মার্কেট লুট করছে। দেশের ধনসম্পদ পাচার করে দিচ্ছে বিদেশে। নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে দুর্নীতি ও শঠতার।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, একাত্তরে যখন তার হাতে অস্ত্র ছিল এবং পুরো দেশ ছিল অরক্ষিত ও লণ্ড-ভণ্ড, তখনো যে কাজটি সে করেনি বা করার কথা কল্পনাও করেনি এখন বলতে গেলে প্রতিনিয়তই তারা দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে নারী নিপীড়নের মতো সেই ঘৃণ্যতম অপরাধ। অথচ নয়মাসব্যাপী যুদ্ধাবস্থায়ও কোথাও তার হাতে কোনো নারীর মর্যাদাহানির কথা শোনা যায়নি। বরং নারীর সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষার্থে সে হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করেছে। তাহলে আজ কী এমন হলো যে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই নারী আজ তার নিপীড়নের সহজ টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে? সুযোগ পেলেই হায়েনার মতো তারা হামলে পড়ছে নারীর ওপর। তাকে ক্ষতবিক্ষত করছে। যাত্রাপথে, বাসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কর্মস্থলে কেন নারীকে এভাবে ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার শিকার হতে হবে- সেটাই এ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৈশাখ, তোমাকে যতদিন ধরে জানি, তোমার মমতাধন্য এ মাটিকে যতটুকু জানি, তাতে তোমার সন্তানের তো এমন দুর্মতি হওয়ার কথা নয়। ঈশ্বরী পাটুনির একমাত্র প্রার্থনা ছিল- ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। তার সেই প্রার্থনাও পূরণ হওয়ার পথে। অথচ সে ধনে যত বড় হচ্ছে, মনের দিক থেকে তত ছোট হয়ে যাচ্ছে। কেন এরকম হচ্ছে? তুমি নিশ্চয় সবার আগে প্রতিবেশী ভারতের কথা বলবে। নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান নিপীড়নের উদাহরণ হিসেবে বলবে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে যে তরুণীটিকে নির্দয়ভাবে পুড়িয়ে মারা হলো তার কথা। আতঙ্কের বিষয় হলো, দুর্যোগে-দুর্বিপাকে আমরা যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করি, সেই জনতাই সংঘটিত করেছে এ বর্বরতা। অতএব, তুমি বলতেই পারো, এ কেবল তোমার সন্তানের একার দোষ নয়। এখন পৃথিবীজুড়ে যে মন্দ-হাওয়া বইছে এ হলো তারই ‘আছর’। বিনা অপরাধে যদি একের পর এক দেশ ধ্বংস করে দেওয়া যায়, হত্যা করা যায় লাখ লাখ মানুষ, ধর্ষণ করা যায় অজস্র শিশু ও নারী, লাখ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে অস্ত্রের মুখে তাদের বাস্তুচ্যুত করা যায়- তাহলে তার কুপ্রভাব তো পড়বেই আমাদের সন্তানদের ওপর।

অনিবার্যভাবে তুমি নীতি-আদর্শের প্রসঙ্গ তুলবে। মাত্র কয়েক দশক আগেও সমাজতন্ত্র তথা বৈষম্যমুক্ত সমতাভিত্তিক একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে চে গুয়েভারার মতো সারা পৃথিবীর উজ্জ্বল তরুণেরা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছে। লড়াই করেছে আত্মসর্বস্ব ভোগবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে। আজ তো সেই আদর্শ, সেই স্বপ্নের ছিঁটেফোটাও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। চরম পরিহাসের বিষয় হলো, যাদের হাতে আমরা তুলে দিয়েছিলাম সেই আদর্শের ঝান্ডা, তাদের কেউ এখন বেনিয়াগিরির পাশাপাশি আজীবনের জন্যে রাজা-বাদশাহ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর, আর কেউ-বা অবতীর্ণ হয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের চেয়েও নিষ্ঠুর ঘাতকের ভূমিকায়। পৃথিবীতে এখন একটাই আদর্শ। সেটা হলো, যেভাবে পারো টাকা বানাও আর ভোগ করো। তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বায়ন ও  অভাবনীয় উৎকর্ষ তাতে যুক্ত করেছে মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়ঙ্কর এক আসক্তি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আড়ালে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সর্বপ্রকার বিকৃতি ও যৌনতার বিষ। কিশোর-তরুণদের বড় অংশই এখন বইপড়া, প্রকৃতিপাঠ, খেলাধুলা, পরার্থপরতা আর স্বভাবজাত দুরন্তপনা ছেড়ে দিয়ে তাতেই বুঁদ হয়ে থাকে সারাক্ষণ।

বড় আক্ষেপ বড় বেদনার বিষয় হলো, একদিন আমাদের বঙ্গবন্ধুর মতো বড় বড় নেতারা ছিলেন, কিন্তু আজ এই মহাবিপর্যয়ের দিনে আমাদের সামনে সেই রকম ক্যারিশমেটিক বা জাদুকরী কোনো নেতৃত্ব নেই। নেই মহৎ মানবিকতার দূরের কোনো হাতছানি। তাই দেশজুড়ে আজ অপচ্ছায়াদের এত দৌরাত্ম্য। ঘোর নিদাঘের এই কালে, কালজয়ী হে মহাবৃক্ষ, তুমিই আমাদের ভরসা। তুমিই সেই বিশল্যকরণী- যার হাতে আছে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালির সুরক্ষা কবচ।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়