ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেখ হাসিনার মানবতা থেকে শত্রুও বঞ্চিত হয়নি

কবীর চৌধুরী তন্ময় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩০, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেখ হাসিনার মানবতা থেকে শত্রুও বঞ্চিত হয়নি

কবীর চৌধুরী তন্ময়: তখন ভোর পাঁচটা। ফজরের নামাজের পরপরই ঢাকার প্রবেশপথগুলো নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ওরা। ঢাকার উত্তরে গাবতলী বাস টার্মিনাল, টঙ্গী এবং দক্ষিণে সায়দাবাদের কাছে কাঁচপুর ব্রিজসহ রাজধানীকে ঘিরে ছয়টি প্রবেশমুখেই অবরোধ। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত হাজার-হাজার শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞ, গাছ কেটে ফেলা, অগ্নিসংযোগসহ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে হামলা; অতঃপর রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র যেন যুদ্ধক্ষেত্র! ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম এভাবেই তাদের অবস্থান জানান দিয়েছিল। প্রকাশ্যে কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগসহ ১৩দফা দাবি তুললেও নেপথ্যে ছিল সরকার পতনের ষড়যন্ত্র। যা সেই সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

অতীতে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ব্রিটিশ আমলের পূর্বে শিক্ষা পদ্ধতি ছিল মক্তব, মাদ্রাসাভিত্তিক। তখনকার সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি। মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষা দেওয়া হতো ফার্সি ভাষায়। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ তখন ফার্সি ভাষা রপ্ত করতো। রাজা রামমোহন রায় আরবি ও ফার্সি ভাষার সুপণ্ডিত ছিলেন এবং উভয় ভাষায় তিনি পুস্তকও রচনা করেছিলেন। ইংরেজ শাসনামলের  শুরুর সময়টাতেও কিছুদিন ফার্সি ভাষা দাফতরিক ভাষা হিসেবে চালু ছিল। কিন্তু যেহেতু ইংরেজরা ফার্সি ভাষা জানতেন না, তাই তারা একটা সময় ফার্সি ভাষার পরিবর্তে  ইংরেজিকেই দাফতরিক ভাষা হিসেবে চালু করেছিলেন। ব্রিটিশরা রীতিমত জোর করেই মুসলমানদের হাত থেকে ভারতের শাসন ক্ষমতা নিয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। আর মুসলমান সম্প্রদায়ও এটি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। তখনকার সমাজে মুসলমানদের মাঝে শিক্ষিত ছিলেন আলেম সমাজ। তারাই বিভিন্নভাবে ইংরেজদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ পর্যন্ত আলেমরাই বিভিন্নভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন। ফকির বিদ্রোহ, বালাকোটে সৈয়দ আহম্মদ বেরেলভীর যুদ্ধ, হাজী শরিয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা- সবই ছিল মুসলমানদের বিদ্রোহী মননের প্রেক্ষাপট।

১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল আলেমদের কারণে। তারা মুঘলদের শেষ সম্রাট জাফর শাহ বাহাদুরকে ভারত সম্রাট ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্রিটিশের হাতে পরাজিত হন। ব্রিটিশরা ৫০ হাজার আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, আলেমদের অভাবে দাফন-কাফনের কাজ চালানোও তখন মুশকিল হয়ে পড়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে থাকা আলেমরা অস্ত্রের পথ পরিহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। জানা যায়, আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসার পর মওলানা কাসেম নানুতুবি প্রথম মাদ্রাসা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং মওলানা জুলফিকার আলী, মওলানা এয়াকুব, নানুতুবি, মওলানা ফজলুর রহমান, মওলানা রফিউদ্দীন এবং হাজী আবেদ হোসেনকে নিয়ে ১৮৬৬ সালে দেওবন্দে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম কাসেম নানুতুবি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় আলেম। ফলে ব্রিটিশ সরকারের কোনও সাহায্য-সহানুভূতির তোয়াক্কা না করে তারা বেসরকারিভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সহায়তায় মূলত মাদ্রাসা পরিচালিত হতো।

গোড়াপত্তন থেকেই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জীবন-মান আধুনিক করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখে আসছি, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্ররা বাড়ি-বাড়ি ও পাড়া-মহল্লায় ঘুরে-ঘুরে মুষ্টি চাল ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে। আজও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। আসলে গোড়াপত্তন থেকেই অন্যের উপর নির্ভর করে কওমি মাদ্রাসা পরিচালিত করা, মুষ্টির চাল, যাকাত-ফেতরা কিংবা বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কওমি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেও অনিশ্চিত জীবন-যাপন করা- এটি এই সময়ের আধুনিক পৃথিবীতে অমানবিক এবং অগ্রহণযোগ্য। আবার অন্যদিকে যাদের হাতে কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রিণ তারাও ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথে আধুনিক শিক্ষা-দীক্ষায় দীক্ষিত হতে অনাগ্রহী। ফলে রাষ্ট্র চাইলেও কওমি মাদ্রাসার মূল শিক্ষানীতির সাথে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি যোগ করা সম্ভব নয়। ১৮৬৬ সাল থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারীরা যত কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছে, কেউ সরকারি অনুকুল্য গ্রহণ করেনি আর সরকারি সনদেরও তোয়াক্কাও করেনি। এটা মূলত বলা হয়, প্রতিষ্ঠাতা আলেমদের ইংরেজ বিদ্বেষের ধারাবাহিকতা।

১৮০০ সালে ব্রিটিশরা কলকাতায় আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন একজন ইংরেজ। পর্যবেক্ষণে পাওয়া যায়, সেসময় মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার দিকে টেনে আনার উদ্দেশ্যেই ইংরেজরা এই শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার একটা কারিকুলাম ছিল। এটাকে বলা হতো আলিয়া নেছাব। আলিয়া মাদ্রাসার ৬৬ বছর পর যখন দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তারাও একটা শিক্ষার কারিকুলাম স্থির করেছিলেন। এটাকে বলা হয় কওমি নেছাব। আলিয়া মাদ্রাসাগুলো সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং সনদও ‘সরকারি সনদ’। চাকরি পেতেও তাদের কোনও অসুবিধা হয় না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থাকায় আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক হতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে না। প্রতিভা থাকলে তারাও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কওমি নেছাবে তা সম্ভব নয়। ফলে একদিকে কওমি মাদ্রাসাগুলো দীর্ঘদিন ধরে তাদের সনদের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে আবার অন্যদিকে তারা সরকার প্রদত্ত কোনও কারিকুলামও মানবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে সরকার আর কওমি মাদ্রাসাগুলোর মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা পরিকল্পিতভাবে কওমি মাদ্রাসাভিক্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে সরকার পতনের নীল নকশা এঁকেছিল। যার পরিসমাপ্তি ঘটে ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা চত্বর’-এর মাধ্যমে।

মাঝখানে মাত্র পাঁচ বছরে দৃশ্যপট একেবারেই বদলে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, দক্ষতায় কওমি মাদ্রাসার বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।  ব্রিটিশ, পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ অর্থাৎ দীর্ঘ ১৫০ বছর কওমি স্বীকৃতি অর্জনে বিভিন্ন সরকার প্রধানের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে তারা। আশ্বাস পেয়েছে কিন্তু কওমি স্বীকৃতি পায়নি। কোনো সরকার কওমিকে স্বীকৃতি দেয়নি। শেখ হাসিনা কওমি স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।  তাদের সুন্দর জীবন লাভ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। অথচ এই মহৎ কাজ করার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমালোচনা শুনতে হয়েছে। তারপরও তিনি নীরবে সহ্য করে কওমি’র বিশাল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সনদ প্রদান করেছেন।

এ দেশের মানুষকে সব সময় মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা কখনও ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেননি। আবার ধর্মের বিরুদ্ধেও তিনি কখনও অবস্থান নেননি। প্রতিটি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের ম্যানিফেস্টো ঘোষণা করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটি নির্বাচনেই তাঁরা জাতির কাছে ম্যানিফেস্টো প্রদান করেছেন। তারা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাশীন হলে কখনও কোরআন ও সুন্নার বিরুদ্ধে কোনও আইন প্রণয়ন করবে না এবং তা তারা কখনও করেনি। এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকুক এটা মনেপ্রাণে চায়। সে কারণে ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। পাঠকের মনে থাকার কথা, জামায়াত ইসলামী একবার এককভাবে তিনশ আসনে নির্বাচন করেছিলো। আসন পেয়েছিলো মাত্র ২টি। তার কারণ, দেশের জনগণ কখনও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি পছন্দ করেনি।

অনেকে বলছেন, সরকার হেফাজতীদের জিতিয়ে দিয়েছে বলেই আবার ইসলামী জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বা উঠতে পারে। এমনকি ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি হতে পারে- এমন ধারণার সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত হতে পারছি না। একটি উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, হাটহাজারী মাদ্রাসাসংলগ্ন দক্ষিণ পাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা কালি মন্দির রয়েছে যার বয়স প্রায় ১১৭ বছর। অথচ সেখানে কখনও কোনো সংঘাত হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে তারা নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালে এই মন্দির যখন পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল, তখনও কেউ মন্দিরটি নষ্ট করেনি।
শাপলা চত্বরে খালেদা জিয়ার হেফাজত আর সোহরাওর্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার হেফাজতকে আমি এক করে দেখতে রাজী নই। শাপলা চত্বরে ওদের নিয়ে আসা হয়েছিল বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওরা এসেছে নিজেদের জীবন-মান উন্নয়নের স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে, ধন্যবাদ দিতে। এই দুয়ের পার্থক্য যোজন-যোজন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী মানুষ। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের প্রায় একটি অকার্যকর রাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা কীভাবে বিশ্বের বুকে সম্মান-মর্যাদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন- এটা বিজ্ঞ পাঠক আমার চেয়ে আরো ভালো জানেন বলেই বিশ্বাস করি। ইতিহাসের পাতায় এই অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অথচ স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছেন। কওমি মাদ্রাসার সনদ প্রদান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ‘শোকরানা’ ও ‘কওমি জননী’ গ্রহণ নিয়েও অনেকে ব্যঙ্গ করেছেন। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শাপলা চত্বরে কওমির শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ধ্বংসযজ্ঞ  এবং আজকের কওমির শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন তারা ভেবে দেখেননি। এই পরিবর্তনের নেপথ্যে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

পাঠক, আপনি নিজেও একান্তভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন, শেখ হাসিনার মানবতা থেকে তাঁর শত্রুও কখনও বঞ্চিত হয়নি।  কে কোন দল করে, কার কোন আদর্শ, আবার কে ভোট দেবে, কে দেবে না- এসব চিন্তা করে তিনি কাজ করেন না। তিনি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে উপলব্ধি করেছেন, কওমি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাংলাদেশের জনগণ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। তাই সকলের সমালোচনা নিজের মাথায় নিয়ে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জীবন-মান উন্নত করার দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। যা অন্য কোনো সরকারপ্রধান নেয়নি। আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে, ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানবসভ্যতা ধীরে-ধীরে আজকের আধুনিক পর্যায়ে এসেছে। ক্রমবিবর্তনে সভ্যতার যে উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে, তাতে ধর্মের বড় অবদান রয়েছে। ধর্মকে অবজ্ঞার চোখে দেখা নিশ্চয়ই সুনাগরিকের দায়িত্ব নয়। আমার বিশ্বাস, কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীও একদিন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। তারাও বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যার তফাৎ খুঁজে পাবেন, বুঝবেন এবং অন্যদেরকেও বুঝাবেন। আর এভাবেই সমাজের সব স্তরের, সব মতের মানুষের কাছে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণ ছড়িয়ে যাবে- আমি এটাই বিশ্বাস করি।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়