ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

ভোটার হব, ভোট দেব

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোটার হব, ভোট দেব

আসাদ আল মাহমুদ : জাতীয় ভোটার দিবস পয়লা মার্চ। এবার জাতীয় ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভোটার হব, ভোট দেব’।

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের সব গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন। এরপর নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিসহ তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে থাকে। নির্বাচন কমিশন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকল নাগরিকের ছবি ও আঙুলের ছাপের বায়োমেট্রিক তথ্যসহ কম্পিউটার ভিত্তিক ডাটাবেইজ প্রস্তুত করছে।আমরা আশা করি, একজন যোগ্য নাগরিকও যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বাদ না পড়ে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে।

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ব্যক্তির সঠিক পরিচয় যাচাই করে সকল সরকারি চাকরিজীবীর বেতন, পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও বিধবাসহ সকল ভাতাভোগীকে রাষ্ট্রীয় সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। যেখানে পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সিম নিবন্ধন করা হয়।

ভোটার দিবস পালনের উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক। অনেকে ভোটার হতে চান, কিন্তু ইসি ঘোষিত সময়ে তথ্য দিতে পারেন না। তারা কনফিউজড থাকে কবে কখন হালনাগাদ হবে। এখন একটি দিনকে বাছাই করা হলে ভোটারযোগ্যরা ভাববে এই দিনটি আমার। ভোটার হতে তারাই সচেতন হবে।

আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও উন্নয়নের মৌলিক ভিত্তি এ প্রতিপাদ্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। একজন যোগ্য নাগরিকও যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বাদ না পড়েন, জাতীয় ভোটার দিবসে এটাই প্রতাশা।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নির্ভুল ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা জরুরি। এছাড়া দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা সহজ হবে।

১৯৭২ সালের ৭ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন হয়। গত বছরের ২ এপ্রিল ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ ১ মার্চকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা।

প্রতি বছর ভারতে ২৫ জানুয়ারি, পাকিস্তানে ৭ ডিসেম্বর, শ্রীলঙ্কায় ১ জুন, ভুটানে ১৫ সেপ্টেম্বর, নেপালে ১৯ ফেব্রুয়ারি ও আফগানিস্তানে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটার দিবস পালিত হয়।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ মার্চ ২০১৯/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়