ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার : যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলবে
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা এবং ক্ষমতায় গেলে দেশ পরিচালায় কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে-সেই বিষয়গুলো ইশতেহার আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান রাখার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
বাংলাদেশের জনগণের ‘অপহৃত মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার' পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের কল্যাণে সরকার পরিচালনা করবে। এই পরিচালনার মূলনীতি হবে ঐক্যমত, সকলের অন্তর্ভূক্তি এবং যেকোনো রকম প্রতিহিংসা থেকে মুক্ত থাকা।
‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বর্ণিত এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকগণের মালিকানা সুদৃঢ় করা। রাষ্ট্রের এই মালিকানা শুধু নির্বাচনে জেতা দলের মানুষের নয়, এই মালিকানা থাকবে নির্বাচনে পরাজিত দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও। এই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে নির্বাচনে পরাজিতদের মতামত এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
এতে আরো বলা হয়েছে, এই রাষ্ট্র নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে, নির্বাচনে জিতলে পরবর্তীতে সেটা আমরা জনগণের সামনে নিয়ে আসব। এই অঙ্গীকারে আমরা শুধু সেই বিষয়গুলোকে স্থান দিয়েছি যেগুলো আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা সম্পন্ন করব।
ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত ১০ বছরে কল্পনাতীত স্বেচ্ছাচারিতা এবং পুলিশকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, গুম, খুন মামলার ঘুষ বাণিজ্য ও বিচারবহির্ভূত হত্যার লক্ষ পরিবার ক্ষুব্ধ ও বিপর্যস্ত।
এই সমস্যা সমাধান করে সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, আইনজীবী সমন্বিত সর্বদলীয় সত্যানুসন্ধান ও বিভেদ নিরসন কমিশন গঠন করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অতীতের হয়রানি মামলা সুরাহার লক্ষ্যে খোলা মনে আলোচনা করে ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধন করা হবে।
তিনি বলেন, সকল জাতীয় বীরদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অন্তর্ভূক্ত করে স্কুল, কলেজে পড়ানো হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করা হবে। এক দলীয় শাসনের যেন পুনঃজন্ম না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে।
ইশতেহার পাঠের সময় মান্না বলেন, এতে ৩৫টি প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সময় স্বল্পতার কারণে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হলো বলেও উল্লেখ করেন মান্না। এ সময় ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৮/রেজা/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন