ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ : খুলনার ৩৫ আসনে ভোট ডাকাতির ছক
খুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রেস ব্রিফিং
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অভিযোগ করেছে, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার মিলে দফায় দফায় বৈঠক করে বিভাগের ৩৫টি আসনে ভোট ডাকাতির ছক এঁকেছেন। এ নিয়ে সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসন থেকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, এ আসন থেকে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই। আর খুলনা-৩ আসনের প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী বোনের মতো স্নেহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাই-বোনকে নির্বাচনে জেতানো বাধ্যবাধকতা মনে করে প্রশাসন প্রস্ততি নিচ্ছে।
চার দফা দাবি তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, ধানের শীষের কর্মীদের ওপর সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে, কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, যে সমস্ত গায়েবি মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে, অবিলম্বে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের তৎপরতা বাড়াতে হবে এবং অবিলম্বে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে বর্তমান নাজুক দানবীয় পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলও বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঐক্যফ্রন্ট সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসিন, বিজেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট. লতিফুর রহমান লাবু, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, জেএসডির অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, জেপির সভাপতি মোস্তফা কামাল, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের এ্যাড. আখতার জাহান রুকু, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
রাইজিংবিডি/ খুলনা/১৯ ডিসেম্বর ২০১৮/ মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন