ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হলিউডের সেরা অভিনেত্রীরা (শেষ পর্ব)

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১০, ১৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হলিউডের সেরা অভিনেত্রীরা (শেষ পর্ব)

স্কারলেট জোহানসন, জেনিফার লরেন্স

রুহুল আমিন : হলিউড বিশ্ব সিনেমার প্রাণকেন্দ্র। হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা নির্মিত হয়ে থাকে। রঙরসের কমতি থাকে না হলিউড সিনেমায়। আর হলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ভক্ত অনুসারী রয়েছে।

চরিত্র, লুক, দক্ষতা ও প্রতিভার ভিত্তিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়। আর তারাও অভিনয়ের জন্য নিজের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেন।

চরিত্র ভেদে অভিনয়শিল্পীদের খাটুনি বিভিন্ন রকম হয়। এই খাটুনির মধ্যে যেমন মানসিক খাটুনি আছে, তেমনি শারীরিক খাটুনিও কম না। তবে সব ছাড়িয়ে হলিউড সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার গ্ল্যামারের জন্য।

বিশ্বের সুন্দরী, মেধাবী অভিনেত্রীদের ঠিকানা হলিউড। আকর্ষণীয়, সৌন্দর্য্য আর অভিনয় গুণে গুণান্বিত এমন কয়েকজন অভিনেত্রীকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

 


 

স্কারলেট জোহানসন : স্কারলেট জোহানসন ১৯৮৪ সালের ২২ নভেম্বর আমেরিকার নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। হলিউড দর্শকদের মধ্যে কেউ যদি বলে কোনোদিন স্কারলেটে ক্রাশ খাননি তবে তিনি নিজের সঙ্গে নিজে মিথ্যা বলছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার বয়স ৩৩ বছর। মাত্র ৯ বছর বয়সে ‘নর্থ’ সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। শিশুশিল্পী থেকে পরিণত বয়সী শিল্পী হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে  ‘লস্টইন ট্রান্সলেশন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। ২০১১ সালে তিনি ঘোষণা দেন ‘সামার ক্রসিং’ উপন্যাস অবলম্বনে তিনি পরিচালনায় অভিষেক ঘটাবেন। সিনেমাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজ দিয়ে তিনি অ্যাকশনধর্মী চরিত্রে বড় ধরনের সাফল্য পান। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক ও দাতব্য কাজ করার জন্যও তিনি বেশ পরিচিত।
 

 

জেনিফার লরেন্স : জেনিফার লরেন্স ১৯৯০ সালের ১৫ আগস্ট আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে। কারণ ওই বছর তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রী হন। ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী ইতোমধ্যে চারবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয় টেলিভিশন প্রোডাকশনের ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। আর ‘গার্ডেন পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে ২০০৬ সালে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। ‘উইন্টারস বন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তিনি ব্রেকথ্রো পান। আর  ‘এক্স-ম্যান’ সিরিজ দিয়ে তিনি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান এবং বিশ্বব্যাপী তার ফ্যান তৈরি হয়। ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ সিরিজ তাকে শীর্ষ অভিনেত্রীতে পরিণত করে এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীতে পরিণত করে। বর্তমানে তিনি হলিউডের সবচেয়ে প্রখ্যাত অভিনেত্রী।
 

 

জেসিকা আলবা : জেসিকা আলবা ১৯৮১ সালের ২৮ এপ্রিল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ১৩ বছর বয়স থেকেই টেলিভিশন ও সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। যদিও তার শৈশব ছিল খুব কঠিন। কারণ তিনি তখন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স যখন ১১ তখন তিনি তার মাকে প্ররোচিত করে একটি অভিনয় প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। প্রতিযোগিতায় জিতলে অভিনয়ের উপর ফ্রি ক্লাস করার সুযোগ  ছিল। ভাগ্যক্রমে তিনি প্রতিযোগিতায় জিতে যান। এই ঘটনার ৯ মাস পর ‘ক্যাম্প নোওয়ার’ সিনেমার ছোট্ট একটি চরিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। আর ‘ডার্ক অ্যাঞ্জেলস’ টিভি সিরিজের ম্যাক্স গুয়েভারা চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বড় ধরনের ব্রেকথ্রো পান। সিরিজটির তৎকালীন পরিচালক জেমস ক্যামেরন ১২০০ প্রার্থীর মধ্যে আলবাকে বেছে নিয়েছিলেন।এরপর তিনি  ‘সিন সিটি’ সিনেমায় অভিনয় করে আবেদনময়ী বিভাগে এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ড জেতেন।‘স্পাই কিডস’ সিনেমায় তার করা অভিনয়ও ভুলার মতো নয়। ২০০৫ সালে ১০০ আবেদনময়ীর তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। আরো বড় ব্যাপার হলো প্লেবয়ে ২৫ জন আবেদনময়ী সেলিব্রেটিদের মধ্যেও তার নাম ছিল।
 

 

অলিভিয়া ওয়াইল্ড : অলিভিয়া ওয়াইল্ড ১৯৮৪ সালের ১০ মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড় হয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। আকষর্ণীয় এই অভিনেত্রী ইতোমধ্যে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার অভিনয় শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি ইন্টারেস্টিং সিনেমার মাধ্যমে।  এর মধ্যে রয়েছে ‘আলফা ডগ’, ‘কনভারসেশন উইথ আদার ওমেন’ ও  ‘দ্য গার্ল নেক্সট ডোর’ ইত্যাদি। ২০০৭ সালে তিনি আমেরিকান ধারাবাহিক টেভি নাটক  ‘হাউস’ এ অভিনেত্রী হিসেবে যোগ দেন। এরপরই তিনি জনপ্রিয়তা পান। বিশেষ করে তার সৌন্দর্য্যের বিষয়টি দর্শকদের নজর কাড়তে শুরু করে। আর  ‘ট্রন: লিগ্যাসি’, ‘কাউ বয়েজ অ্যান্ড এলিয়েন্স’ ‘ড্রিংকিং বাডিস’ ইত্যাদি সিনেমার জন্য তিনি জনপ্রিয় হন। তিনি দুটি পুরস্কারও জিতেছেন অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ।
 

 

নাটালি ডোরমার : নাটালি ডোরমার ১৯৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লেনোভা স্কুল অব ড্যান্সিং থেকে নাচের উপর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। যার কারণে তাকে একজন ভালো ড্যান্সার হিসেবেও চিনে দর্শকরা।তিনি ক্যামব্রিজে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তবে তিনি ইতিহাসে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরে তিনি লন্ডনের নাট্য স্কুল ওয়েবার ডগলাস একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে ভর্তি হন। এখান থেকে স্নাতক শেষ করার ছয় মাস পর  ‘ক্যাসানোভা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তার সিনেমায় অভিষেক হয়। তবে তার এই যাত্রা ততটা শুভ হয়নি। পরে দুর্ভাগ্যবশত বেঁচে থাকার তাগিদে হোটেলের ওয়েট্রেস ও ডাটা এন্টির কাজ করেন তিনি। পরে আবার ফিরে আসেন এবং বোকা মার্কা এক হাসি দিয়ে ধীরে ধীরে দর্শকদের মন জয় করে নেন। ‘গেমস অব থ্রন্স’, ‘দ্য হাঙ্গার গেমস : মকিংজে’সিরিজে অভিনয়ের সুবাদে খ্যাতি, পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এরপর তাকে দেখা যায় ‘ফ্ললেস’, ‘সিটি অব লাইফ’, ‘উই’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা :দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’, ‘রাশ’, ‘দ্য কাউন্সেলর’, ‘দ্য ফরেস্ট’ ইত্যাদি সিনেমায়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ এপ্রিল ২০১৭/রুহুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়