ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বাচনে যেতে খালেদা জিয়ার শর্ত

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচনে যেতে খালেদা জিয়ার শর্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ছয়টি শর্ত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শর্তগুলো তুলে ধরেন।

শর্তগুলো হলো- ভোট হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে, ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, সেনাবাহিনী মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করবে, ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আমি যেখানেই থাকি না কেন আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ নেই। দলের নেতা ও এ দেশের মানুষের সঙ্গে আছি।

‘একবার ক্ষমা করেছি। কিন্তু ক্ষমা বারবার করা যায় না। তাই দল ভাঙার যত চেষ্টাই হোক কেউ ফাঁদে পা দেবেন না। যারা দলের প্রতি অনুগত থাকবেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে। যারা থাকবেন না তাদের আর ক্ষমা করা হবে না।’

তিনি দলের নেতাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ঐক্যবদ্ধ থাকতে নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন।

জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।’

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের নিম্ন আদালত যে ‘সরকারের কব্জায়’, তা ‘সর্বোচ্চ আদালতও’ বলছে।

‘সরকারের কথার বাইরে, ভাবনা চিন্তা যাই থাকুক না কেন, তারা বুঝতে পারেছে যে এটা সঠিক নয়, কিন্তু সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতাটা তাদের নেই।’

তিনি বলেন, 'সঠিক রায় দিলে যে কী হতে পারে সেটা আপনারা দেখেছেন। তারেক রহমানের সঠিক রায় দেওয়া হয়েছে যে আদালতে, সেই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।'

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ‘সত্যি কথা বলায়’ সরকার তাকে দেশের বাইরে যেতে এবং পদত্যাগ করতে ‘বাধ্য করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এর আগে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরুর পর উদ্বোধনী পর্বে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং দলের মহাসচিব সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল; সেটি ছিল আগের কমিটির বৈঠক। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর ৫০২ সদস্যের বর্তমান কমিটি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া।

এরপর এই প্রথম ওই পর্যাদের নেতাদের নিয়ে বসেছেন তিনি। যদিও বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছয় মাস পর পর এই সভা হওয়ার কথা।

মূল মঞ্চে দলীয় প্রধানের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজা/ইভা/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়