ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির সন্দেহ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির সন্দেহ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিষ্ঠানটিতে আগুন লাগার ঘটনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘অনেকের সন্দেহ আছে, এই সময় আগুন লাগার কারণ কী? এটাই জনগণের প্রশ্ন।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলার একটি কক্ষে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাংলাদেশে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ওই ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আগুন লাগার প্রসঙ্গ টেনে আমির খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, রিজার্ভ চুরির দুই মাস পর মানুষ তা জানতে পেরেছে ফিলিপাইনের পত্রিকায় সংবাদ হওয়ায়। এটি তদন্ত করা হলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফিলিপাইন এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের লোকজনই রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত। ব্যাংকের ভেতর থেকেই এ কাজ হয়েছে। মূলত এ কারণেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

তিস্তাসহ অন্য অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি না হলে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রয়োজনীয়তা কী, এ বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক।

তিনি বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি আলোচনার বাইরে চলে গেছে। যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা নয়। জনগণের চাহিদা হলো তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা। তাহলে কার চাহিদার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর?”

প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে সেটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যাবে, এ দাবি করে আমির খসরু বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব চিন্তা, দর্শন, গোপনীয়তা, কৌশল, অহংকার থাকে। এটা বিনিময়ের কিছু নেই।’ সবকিছু বিনিময় করতে হলে প্রতিরক্ষা বাহিনী স্বাধীন থাকবে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মার্চ ২০১৭/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়