ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তিন বছরের কমিটিতেই ১৪ বছর পার

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তিন বছরের কমিটিতেই ১৪ বছর পার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোর জেলা যুবলীগের কমিটি তিন বছরের জন্য গঠিত হলেও সে কমিটি দিয়েই পার হয়েছে ১৪ বছর । কমিটির অধিকাংশ সদস্যই এখন নিস্ক্রিয়। এত দিনেও কমিটি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশী ও সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে  দেখা দিয়েছে হতাশা।

কমিটি নিষ্ক্রিয়তায়  কোতয়ালি, বাঘারপাড়া, অভয়নগর উপজেলা ও যশোর শহরে আহবায়ক কমিটি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। শিগগিরই জেলা যুবলীগেরও আহবায়ক কমিটি গঠিত হচ্ছে। আহবায়ক কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজন নেতার নামই এখন আলোচনায়।

যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৯ জুলাই জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। এতে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। সে হিসেবে ২০০৬ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে যশোর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ইতিমধ্যে এ কমিটির চার সদস্য মারাও গেছেন। তারা হলেন সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন, নির্বাহী সদস্য জয়ন্ত বিশ্বাস, তরুণ অধিকারী ও সোহেল রানা। অপর এক সদস্য দীর্ঘদিন নিখোঁজ রয়েছেন। কয়েকজন বিদেশে চলে গেছেন। এর বাইরে অনেকে আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।

নেতাকর্মীদের অনেকেরই ভাষ্য,  পদ চলে যেতে পারে এমন শঙ্কায় এত দিন যুবলীগের সম্মেলন দেওয়া হয়নি। তারা কোন উপজেলা কমিটিও করতে পারেননি । অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের দায়িত্বরতরা আওয়ামী লীগের মূল কমিটিতে ভালো পদ পাননি বলেই সম্মেলন দিতে গড়িমসি করছেন।

তবে এসব বক্তব্য মানতে নারাজ জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এটা পদ ধরে রাখার বিষয় নয়। মার্চের শেষ সপ্তাহে দুটি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চারটি উপজেলার সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র সব স্থগিত করে দেয়।’

অন্যদিকে দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন,  শিগগিরই যশোর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এজন্য বেশ কয়েকজন আহবায়ক হওয়ার জন্য তদ্বির চালাচ্ছেন। এরমধ্যে রয়েছেন, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুল কবীর বিজু, যুবলীগ নেতা মঈনুদ্দিন মিঠু, কোতয়ালি যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওহিদুজ্জামান বাবলু।

যুবলীগের রাজনীতিতে আসতে আগ্রাহী যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির বয়স শেষ হয়েছে। আমার নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের গতিশীল রাজনীতি যশোরের মানুষ দেখেছে। আমাকে যুবলীগের রাজনীতিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি আমার সাধ্যমত সংগঠনকে গতিশীল করবো।’ 

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে যুবলীগের রাজনীতিতে আসার নিয়ম।  ছাত্রলীগের পদ ছেড়েছি অনেক আগেই। কিন্তু সম্মেলন না হওয়ায় যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারিনি। নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্বেও এক ধরনের সংকট দেখা দিচ্ছে।’



রাইজিংবিডি/যশোর/২৭ এপ্রিল ২০১৭/বি এম ফারুক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়