ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন : ফখরুল

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের জন্য আন্দোলন করছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সহায়ক সরকার’ এর অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।

এর আগে নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমান সুযোগ নিশ্চিতকরনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। আমরা নির্বাচনে যাব। তবে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া তা হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সহায়ক সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা প্রথম আঘাত এনেছে রাজনীতিতে। এভাবে সর্বস্তরে তারা ধ্বংস করছে। প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে, মানুষকে প্রতারিত করছে। এখন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীদের।’

জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন শহীদ জিয়া। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে চায়। কারণ তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছিল।’

জিয়াউর রহমানকে মিতব্যয়ী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার বেশি কখনোই থাকত না। নিজের একটু জমিও নেই তার। মৃত্যুর পর তার একটা ভাঙা স্যুটকেস পাওয়া গেছিল। এখানেই অনন্য তিনি।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শ্রমিকদল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছা সেবকদলের শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, মহানগর উত্তরের বজলুল বাসিত আনজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।

সভায় যোগ দিতে আসার সময় খিলগাঁও থানা যুবদলের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও মুক্তির দাবি জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শহীদ জিয়া মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেন তার অনন্য গুণাবলী দ্বারা। তিনি আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়টা দিয়ে গেছেন। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অন্তর্ভুক্ত করেন। এটা মুছে ফেলা যাবে না।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তিনটি বিশেষ গুণে শহীদ জিয়া রাষ্ট্রনায়ক। তিনি একটি দর্শন দিয়েছেন, স্বপ্ন দিয়েছেন এবং দর্শন বাস্তবায়নে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জমির আইলে আইলে হেটে হেটে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন।’

আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তারা নিজেরাই তা মানে না মন্তব্যকরে মওদুদ বলেন, ‘এখন ভোট পাওয়ার জন্য হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক করছে। এসব করে লাভ নেই। অতীতে খেলাফতে মজলিসের সঙ্গে ৫ দফা চুক্তি করেছিল ভোটের জন্য। আজকের পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয় আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদী দল। বহু বছর হয়েছে দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন দেখতে চায়।’

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৭/রেজা/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়